চা বাগানে চলছে আন্দোলন, বিকেলে বৈঠক
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে সরকার মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে আজ বিকেলে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ ঢাকার শ্রম ভবনে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশীয় চা সংসদের মধ্যকার এই বৈঠক বিকেল চারটায় শুরু হবে৷ বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌছেছেন৷
চা শ্রমিক ইউনিয়নসূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিধি দলে সাতটি ভ্যালীর সভাপতিরা রয়েছেন৷ পাশাপাশি সংগঠনের নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী, সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নিপেন পাল, অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি ও মনু ধলাই ভ্যালীর সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা৷
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি জানান, গতকালকের শ্রম অধিদপ্তরের বৈঠক সমঝোতা ছাড়া শেষ হওয়ার পর আজ আমাদের এবং বাগান মালিকদের নিয়ে আজ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ আমরা সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছি,বৈটকে আমরা আমাদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবী জানাবো তবে যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের দাবী মানা হবে না ততক্ষন পর্যন্ত শ্রমিক ধর্মঘট চলবে৷
বাংলাদেশীয় চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, আজ আমরাও বৈঠকে অংশ নিবো৷ আমাদের মালিকপক্ষের যারা ঢাকায় অবস্থান করছেন তারা সবাই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন৷ এদিকে দেশের ২৩১টি চা বাগানে টানা পঞ্চম দিনের মত চলছে শ্রমিকদের ধর্মঘট ও আন্দোলন৷ পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে চা পাতা উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরন৷
সরেজমিনে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন চা বাগানে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন৷ প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে শ্রমিকরা তাঁদের মজুরি তিনশ টাকা নির্ধারনের জন্য মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান৷
জেলার খাইছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক উমা বাউড়ি বলেন,আমরা আধ-পেটা খেয়ে প্রতিদিন কাজ করি৷ সপ্তাহে তিনদিন ভাত খেলে বাকি চারদিন চা পাতা ভর্তা খেয়ে বেঁচে আছি কোনমতে৷ এখন বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম তাতে না খেয়ে মরা ছাড়া কোন রাস্তা নাই৷ তিনশ টাকা মজুরি যদি না পাই তাহলে আমরা আর কাজে ফিরবো না৷
এএজেড