মেডিকেল শিক্ষার্থীর উপর হামলা: আরও দুই আসামির আত্মসমর্পণ
সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে শ্লীলতাহানি ও মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় আদালতে আরও দুই আসামি আত্মসমর্পণ করেছে। আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করা দুই আসামি হলেন- সাজন ও মামুন। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
দুইজন আসামির আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের
নির্দেশ দেন। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই দুপুরে এক রোগীর দুই স্বজনের সঙ্গে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই দুই স্বজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এর জের ধরে পরদিন সোমবার রাত ৮টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইমন আহমদ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র রুদ্র নাথের উপর হামলা চালায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এরপরে মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ৭ জনকে আসামি করে গত ২ আগস্ট দুপুরে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের দুই দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তারা হলেন- দিব্য সরকার, সাঈদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদ। এ ছাড়া আরও ৪ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের মধ্যে সামি নামের একজনকে ৪ সপ্তাহের জামিন দেন আদালত। আর অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিকের ভাতিজা মো. আবদুল্লাহকে জামিন দেন আদালত। তবে ওসমানীর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জন কারাগারে রয়েছেন।
এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি দিব্য সরকারকে গত ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করলে পরদিন সকালে (৪ আগস্ট) আন্দোলন স্থগিত করে কর্মস্থল এবং ক্লাসে ফিরে যান ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
এসআইএইচ