ভারতে সাজা ভোগ শেষে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগের পর দেশে ফিরেছেন শিশু ও নারীসহ ১০ বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকালে বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরে বিএসএফ ও ভারত সীমান্ত পুলিশ এসব প্রত্যাবাসনকারীদের বিজিবি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এসব প্রত্যাবর্তনকারীরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে। পরে বিএসএফ ও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। একপর্যায়ে তাদের টাই হয় বিভিন্ন ডিটেনশন (কারাগারে) সেন্টারে।
প্রত্যাবাসনকারীদের হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান, বিয়ানীবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম, ৫২ বিজিবি’র বড়গ্রাম কোম্পানি কমান্ডার, ভারত সীমান্ত পুলিশের আইপিএস অফিসার, সুতারকান্দি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ, বিএসএফের সুতারকান্দি কোম্পানি কমান্ডার প্রমুখ।
দেশে ফেরা নাগরিকরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের রতন বর্মণ, সিলেটের কানাইঘাটের শাহিদ আহমদ, জকিগঞ্জের ছাবির আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, কাজী সুমন আহমদ, চাঁদপুরের কচুয়ার মাসুদ ইসরাইল রহমতুল্লাহ, কক্সবাজারের একই পরিবারের অয়েস করিম, জান্নাত তাসবির, সাবিহা জান্নাত ও জহুরা বেগম ইয়াসমিন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাশ জানান, ভারতের কারাগারে আটকা পড়াদের দেশে ফিরিয়ে আনার মানবিক কার্যক্রমের সম্মুখযোদ্ধা আসামের গৌহাটির বাংলাদেশ দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর। তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ভারতের কারাগারে অসহায়ভাবে পড়ে থাকা মানুষগুলো দেশে ফিরতে সক্ষম হচ্ছে।
অমলেন্দু কুমার দাশও দীর্ঘদিন ধরে দু'দেশের বন্দি প্রত্যাবাসনে কাজ করছেন। স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে অসহায় মানুষকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। ভারতের আসাম রাজ্যের ৫টি ও মেঘালয় রাজ্যের ২টি কারাগার থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ২৭৫ জন বাংলাদেশিকে মুক্ত করে একই স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ইমিগ্রেশন কার্যক্রম, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর প্রত্যাবাসনকারীদের বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আগে থেকে অপেক্ষমান স্বজনদের কাছে দেশে ফেরা নাগরিকদের বুঝিয়ে দেয় পুলিশ।
এসজি/