চুনাপাথর আমদানি বন্ধ: আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা
সুনামগঞ্জে প্রায় ১২ দিন থেকে ভারতীয় চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। জেলার দোয়ারাবাজার চেলা স্টেশন দিয়ে ওপারের ব্যবসায়ীদের আইনি জটিলতায় গত ২৫ জুলাই থেকে বন্ধ হয়ে যায় চুনাপাথর আমদানি। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন শত শত চুনাপাথর ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী ১৮ আগস্ট ভারতীয় আদালতে রায় প্রকাশের অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা। রায়ে চুনাপাথর বন্ধের সিদ্ধান্ত হলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে ব্যবসায়ীদের। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ ও বকেয়া আদায় নিয়েও বিপাকে পড়বেন শতাধিক চুনাপাথর ব্যবসায়ী। এ ছাড়াও এই স্টেশনে জীবিকার সঙ্গে জড়িত হাজারো বারকি ও পাথর শ্রমিক পরিবারে বেড়ে যাবে হাহাকার।
চুনাপাথর ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আইনি জটিলতার কারণে গত ২৫ জুলাই থেকে সীমান্তের ওপার থেকে স্থানীয় চেলা রুটে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। বেকার হয়ে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার কয়েক হাজার বারকি শ্রমিক। অপরদিকে সরকারের নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়েও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
চেলা শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে চেলা রুটে নির্ধারিত সরকারি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার স্থলে অর্জিত হয়েছিল ২ কোটি টাকার উপরে। তবে শিগগিরই চুনাপাথর আমদানি স্বাভাবিক না হলে এবার সরকারের নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে বলে জানায় সূত্রটি।
ছাতক লাইম স্টোন ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সেক্রেটারি অরুণ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন জানান, চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। ব্যবসায়ীরাও ব্যাংকের ঋণ ও মহাজনদের কাছে বকেয়া পাওনা আদায় নিয়ে পড়েছেন শঙ্কায়।
এ ব্যাপারে চেলা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাদির জানান, মূলত ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আইনি নানা জটিলতার কারণে চুনাপাথর আমদানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় আদালতে সেই দেশের ব্যবসায়ীদের চলমান মামলার রায় আগামী ১৮ আগস্ট। রায় তাদের পক্ষে না হলে ভারতের চুনাপাথর ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে চুনাপাথর রপ্তানি করতে পারবেন না।
এসআইএইচ