শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাতছড়ি উদ্যানের আয়তন বাড়ছে দ্বিগুণ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অবস্থিত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান জীববৈচিত্র্যপূর্ণ সংরক্ষিত প্রাকৃতিক একটি বনাঞ্চল। সাতছড়ি দেশের সবচেয়ে ছোট জাতীয় উদ্যান। তবে ছোট হলেও এই বনকে বলা হয় বন্যপ্রাণীর ‘হটস্পট’। বিশেষ করে পাখির রাজ্য হিসেবে পরিচিত এই বনে আছে অনেক বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী। এই বনে দেখা মিলেছে বন্যককুরের। এটি সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ও অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি।

প্রকৃতির আপন মায়ায় সুনিপুণভাবে বেড়ে ওঠা এই বন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তের গাঁ ঘেঁষে অবস্থিত। মিশ্র চিরসবুজ এই বন আঁকা-বাঁকা ৭টি পাহাড়ি ছড়া ও উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলায় পরিবেষ্টিত। বনাঞ্চলটিকে ঘিরে রয়েছে ৯টি চা বাগান। পশ্চিমে সাতছড়ি চা বাগান ও পূর্ব দিকে চাকলাপুঞ্জি চা বাগান।

বর্তমান সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ২৪২ দশমিক ৯১ হেক্টর সংরক্ষিত বন। তবে এবার বনটির আয়তন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। নতুন করে ৬০০ হেক্টর সংযোজন করে মোট ৮৪২ দশমিক ৯১ হেক্টর জাতীয় উদ্যান করতে চায় বনবিভাগ। এরই মধ্যে এ নিয়ে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেট। প্রস্তাবটি বন অধিদপ্তর থেকে যাচাই বাচাই শেষে প্রয়োজনীয় তথ্য সমৃদ্ধ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, সাতছড়িতে প্রায় ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। বড় আকারের স্তন্যপায়ীদের মধ্যে রয়েছে লেজবিহীন স্তন্যপায়ী উল্লুক। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া এ মহাবিপন্ন উল্লুকের অন্যতম উপযুক্ত আশ্রয়স্থল সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। অন্যান্য বড় আকারের স্তন্যপায়ীদের মধ্যে রয়েছে চার প্রজাতির বানর। এগুলো হলো- রেসাস বানর, ছোট লেজী বানর, আসামি বানর ও লজ্জাবতী বানর। এ ছাড়া দুই ধরনের হনুমান রয়েছে এখানে। এগুলো হলো- মুখপোড়া হনুমান ও চশমাপরা হনুমান। এ ছাড়া অন্যান্য স্তন্যপায়ীর মধ্যে রয়েছে বিপন্ন প্রজাতির মায়া হরিণ, কালো কাঠবিড়ালী, খরগোশ, বন্যশুকর, শিয়াল, মেছোবিড়াল, বনবিড়াল, গন্ধগোকুল, সজারু, হল্দে-গলা মার্টিন।

সাতছড়িতে বন কুকুর রয়েছে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও মাংসাশী প্রাণীর গবেষক মুনতাসির আকাশ বলেন, এটি খুবই সমৃদ্ধ বন। এখানে অনেক বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এই বনের আয়তন বাড়ানোর যে উদ্যোগ বনবিভাগ নিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন হলে বন্যপ্রাণীদের থাকার জায়গা বাড়বে সেই সঙ্গে এদের সংরক্ষণে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে এ উদ্যোগ।

সাতছড়িতে প্রায় ১৪৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে। বিরল প্রজাতির বেশ কিছু পাখির দেখা মিলে এ বনে। এদের মধ্যে রয়েছে বনমোরগ, মথুরা, কাউধনেশ, পাহাড়ি ময়না, লালমাথা টিয়া, হরিয়াল, রাজ ঘুঘু, সবুজ ঘুঘু, বেগুনি পাপিয়া, সিঁদুরে মৌটুসি, লালমাথা কুচকুচি, পাতা বুলবুলি। অন্য পাখির মধ্যে রয়েছে বাংলা বুলবুলি, বউকথাকও, সিপাহি বুলবুলি, নীলকণ্ঠ, কালাঝুটি বুলবুলি, কোকিল, কাঠঠোকরা, দাগি বসন্ত, এশীয় নীলপরি, ঘুঘু, শ্যামা, কাঠ শালিক, সবুজ টিয়া, কমন ময়না, প্যাঁচা, ফটিকজল, ঈগল, বটকল, কমলা দামা, খয়রা মাথা সুইচোরা, মৌটুসি, ফুলঝুরি, গোলাপি সাহেলী, ভিমরাজ, ডুফাজঙ্গল, মুনিয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া শকুনের নিরাপদ এলাকা-১ এর অন্তর্গত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা বলে ঘোষিত।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তথ্য অনুযায়ী, যেকোনো বনে প্রতি এক কিলোমিটারের ভেতর সাধারণত ৫০ প্রজাতির বেশি পাখি বসবাস করে। কিন্তু সাতছড়ি একমাত্র বন যেখানে এক কিলোমিটারের ভেতর প্রায় ২০০ প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। অনেক বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির পাখিও পাওয়া যায় এখানে। তাই দেশের পাখিপ্রেমী ও ফটোগ্রাফারদের কাছেও এই বন রয়েছে পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অনু জানান, দেশের মধ্যে পাখিদের জন্য এমন বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্ভিদ আর বৃক্ষে ভরা বন আর কোথাও নেই। সুন্দরবনের পর একসঙ্গে এত প্রজাতির পাখির দেখা আর কোথাও মেলে না।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পাখিবিদ ড. ইনাম আল হক জানান, এক কিলোমিটার বনে ৫০ প্রজাতির জায়গায় সাতছড়িতে ২০০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। এটা মোটেও ভালো খবর নয়। এত বড় দেশ আমাদের। কিন্তু পাখিদের বসবাসের ভালো জায়গা না থাকায় সেগুলো এখানে থেকে যায়। বনটি বড় করা হলে অবশ্যই পাখিদের জন্য ভালো খবর।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে বনটি আমার কাছে খুবই প্রিয়। কারণ এখানে এত বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছ, লতাপাতা আছে সেই সঙ্গে আছে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ। যা এই বনকে সমৃদ্ধ করেছে। ছোট একটি বনে ২০০ প্রজাতির পাখি তখনই থাকবে যখন তাদের জন্য আলাদা আলাদা খাবার পাওয়া যাবে। এটা একটা ভালো দিক।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রায় ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১০ প্রজাতির উভচর প্রাণীর রয়েছে। এদের মধ্যে সবুজ বোড়া বা পিট ভাইপার, কিং কোবরা, অজগর, মক ভাইপার, খয়ে গোখরা, শঙ্খিনী, লাউডগা, বাদামি গেছো সাপ, তক্ষক, গিরগিটি, চিতি বন আচিল, গুইসাপ, হলুদ পাহাড়ি কচ্ছপসহ রয়েছে নানান সরীসৃপ।

উভয়চের মধ্যে চিত্রিত আঁচিল ব্যাঙ, ভেনপু ব্যাঙ, মুরগি ডাকা ব্যাঙসহ রয়েছে ঝিঁঝিঁ ব্যাঙ, সোনা ব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ, দুই দাগী বাঁশি ব্যাঙসহ নানা প্রজাতির ব্যাঙ।

সরিসৃপ গবেষক শাহারিয়ার সিজার জানান, আয়তন বাড়ানো ভালো উদ্যোগ তবে এই বনের ভেতর দিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়াগুলো অনেকটাই ভরাট হয়ে গেছে। ছড়া খনন ও দখলমুক্ত করা সেই সঙ্গে বনকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারলে সরিসৃপ ও উভয়চর প্রাণীর জন্য উপকারে আসবে।

এই বনের অন্যতম সুন্দর প্রজাপতি। প্রায় ১৯০ প্রজাতির রংবেরঙের প্রজাপতির আবাসস্থল এ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। বর্ণিল রঙিন ডানা, আকার-আকৃতি, বসার স্থান, খাদ্যাভাস ও উড়ার ধরনে একটি অন্যটির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বিরল প্রজাতির বেশ কিছু উদ্ভিদসহ প্রায় ২০০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে সেগুন, চাপালিশ, চালমুগরা, তেলসুর, আউয়াল, চিকরাশি, গামার, গর্জন, রাতা, উদাল, আগর, ছাতিম, লোহাকাঠ, ডেউয়া, বেলপাই, মালাকানা, মেহগনি, জিগা, জারুল, করই, ডুমুর, বট, পাকুরসহ রয়েছে নানান প্রজাতির উদ্ভিদ।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বনাঞ্চলটিকে বর্ধিতকরণের যৌক্তিকতা হিসেবে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য এই বনের আয়তন বাড়ানোর প্রস্তাব আমরা বন অধিদপ্তরে দিয়েছিলাম এই বছরের শুরুতে। এরপর অধিদপ্তর থেকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হলে আমরা আবার তা পাঠাই। বর্তমানে এটি অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে আছে।

বাংলাদেশের অত্যন্ত সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ও অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। দেশের অন্যান্য প্রাকৃতিক বনের তুলনায় এটি উদ্ভিদ ও প্রাণিবৈচিত্র্যে অত্যন্ত পরিপূর্ণ। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া মহাবিপন্ন বন্যপ্রাণীর একটু অংশ এখানে আছে। তাই এইসব বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণের জন্য জাতীয় উদ্যানের আয়তন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণীর নিরাপদ বিচরণের জন্য আবাসস্থল সংরক্ষণের গুরুত্ব অত্যাধিক।বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ বনাঞ্চলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্র যথেষ্ট নয়। বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও এদের অবাদ বিচরণের জন্য বন্যপ্রাণীর স্থায়ী অভয়াশ্রম সৃষ্টি করা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ বৃক্ষ অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও খাদ্যাপযোগী বনায়ন সৃজন করে বন্যপ্রাণীর খাদ্য ও আবাসস্থল নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন। সেজন্য বনাঞ্চলের আয়তন বর্ধিতকরণ জরুীর।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে যে আয়তন তার বাইরে জাতীয় উদ্যানের বর্তমান এলাকার বাইরের অঞ্চলেও বিভিন্ন ধরনের বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এসব উদ্ভিদের মধ্যে চালমুগরা, তেলসুর, আউয়াল, চিকরাশি, গামার, রাতা, উদাল, আগর, ছাতিম, লোহাকাঠ, ডেউয়া, বেলপাই, মালাকানা, জিগা, জারুল, করই, ডুমুর, বট, পাকুর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। উদ্যানের আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে এসব উদ্ভিদের রক্ষণাবেক্ষণ আরও সহজতর হবে। পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিও হবে সমৃদ্ধ।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খানা জানান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের আয়তন বর্তমানে খুবই ছোট। এত কম জায়গাতে দীর্ঘদিন বন্যপ্রাণী টিকিয়ে রাখা কঠিন তাই আয়তন বাড়ানো জরুরি। এই বনের আশেপাশের অনেক এলাকা বন্যপ্রাণীদের জন্য সমৃদ্ধ। সেই সব জায়গাকে সংরক্ষিত বনের আয়তায় আনার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা বন্যপ্রাণীর জন্য উপকারে আসবে। কারণ জায়গা বাড়লে প্রাণীদের আবাস্থল বাড়বে এবং এই জায়গাটা সংরক্ষিত হবে। এদের তাদের প্রজনন ও চলাচলের জন্য নিরাপদ জায়গা বৃদ্ধি পাবে।

এসএন

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা