বিরামপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা। তবে লম্পট প্রেমিক উধাও। এদিকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেমিকা সিমলা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিরামপুর পৌরশহরের দেবীপুর বনখঞ্জা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শ্রী নয়নের মেয়ে শ্রীমতী সিমলার সাথে একই গ্রামের শ্রী ব্রজেন চক্রবর্তী এর ছেলে শ্রী মেঘনাথ চক্রবর্তী (২৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে সিমলার সাথে অবৈধ মেলামেশা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রী মেঘনাথ চক্রবর্তী সিমলাকে ফুসলিয়ে মেঘনাথের মামা আপন (৪৫) এর ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় সিমলা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে লম্পট প্রেমিক মেঘনাথ পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী সিমলাকে উদ্ধার করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে লম্পট মেঘনাথ পালিয়ে আছে। তার কোন খোঁজ পাচ্ছে না এই মর্মে গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রেমিকা সিমলা প্রেমিক মেঘনাথের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করে । সিমলার বাবা বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
প্রেমিকা সিমলা জানান, মেঘনাথ আমাকে বিয়ে করবে বলে ৬/৭ বছর ধরে আমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ও মেলামেশা করে আসছে। এরই মাঝে আমার পরিবার ছেলের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে, তারা সে প্রস্তাব না করে দেয় এবং আমাকে আমার পরিবার অন্য ছেলে দেখে বিয়ে দেয়। কিন্তু মেঘনাথের কারণে আমার ওই বিয়েও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। আর এখন সেও আমাকে ফাঁকি দিচ্ছে। তাই আমি তার বাড়িতে এসেছি, সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করবো।
মেঘনাথের বড় ভাই শ্রী শান্ত জানান, রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তারা দুইজনেই আমার মামার বাড়িতে সময় কাটায়। এরপর থেকেই আমার ছোট ভাই মেঘনাথ বাড়িতে নাই। তার কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই দুলু জানান,অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনার তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছি। কিন্তু, ছেলে বাড়িতে নাই। ছেলেকে হাজির করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে তার পরিবারকে বলা হয়েছে।
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)