৭ বছর পর চুরির মামলায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের দুই সাংবাদিক আসামি
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি আব্দুল খালেক ফারুক এবং নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির সূর্য। ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামে সাত বছর দুই মাস পর দোকানে চুরি ও লুটপাটের ঘটনায় দুই সাংবাদিককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ।
মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলালসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি দুই সাংবাদিক হলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল খালেক ফারুক এবং নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির সূর্য।
মামলার বাদী মাহফুজার রহমান অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে আসামিরা তার দোকানে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে মারধর ও লুটপাট করেন। এতে প্রায় ২৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
যদিও দুই সাংবাদিক কোনও দলের সঙ্গে জড়িত নন, তবু তাদের সাংগঠনিক পরিচয় উল্লেখ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বাদী কোনও স্পষ্ট জবাব দেননি।
তবে সাংবাদিক আব্দুল খালেক ফারুক ও হুমায়ুন কবির সূর্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেন, তারা কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ বলেন, দুই সাংবাদিকই পেশাদার এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ধরনের মামলায় সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে স্বাধীন সংবাদ প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সদর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ জানান, মামলা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, মামলার এজাহারে দুই সাংবাদিকের পরিচয় গোপন করে তাদের রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাদের ওই সংগঠনের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই। কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রও নিশ্চিত করেছে যে, আব্দুল খালেক ফারুক যুবলীগের কোনো পর্যায়ে যুক্ত ছিলেন না।
এর আগে, কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে করা মামলায়ও তিন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছিল। সাংবাদিক মহলে এটি পেশাগত স্বাধীনতার ওপর চাপ তৈরির একটি কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)