ভোট কারচুপির অভিযোগে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভোট বর্জন
সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফ করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ। ছবি: সংগৃহীত
কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ফুলছড়ি উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ।
বুধবার (৮ মে) দুপুর ১টার দিকে কঞ্চিপাড়া এম এ ইউ একাডেমি কেন্দ্রে এ ঘোষণা দেন তিনি। জিএম সেলিম পারভেজ ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি বলেন, 'আমি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ব্যাপক ভোটে নির্বাচিত হই। দলীয় প্রতীক বিহীন এবারের নির্বাচনের আগের রাতে স্থানীয় সংসদের হস্তক্ষেপে ভোটের পরিবেশ কলুষিত করা হয়েছে। এমপির পছন্দের মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আজ সকাল থেকে দুর্গম চরাঞ্চলের অন্তত ৩০টি কেন্দ্র ন্যাক্কারজনকভাবে দখল করে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে। আমার এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। আমি সকাল থেকে অন্তত ২০ বার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি বলেছি কিন্তু তিনি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।
তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এর আগে সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছি।
তিনি জানান, আমি এই কারচুপির নির্বাচন বর্জন করলাম। সেই সাথে যারা এই ভোট কারচুপির সাথে জড়িত যারা সরকারে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে তাদের বিচার দাবি করছি। আজ সুষ্ঠু নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোটে আমি বিজয়ী হতাম।
রিটানিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব জানান, ইতিমধ্যে সাঘাটায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সামশীল আরেফিন।
তিনি বলেন, এ উপজেলায় শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৭শত ১২ জন।