বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ পূবালী ব্যাংকের কার্যক্রম!
বিদ্যুৎ না থাকায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল দিনাজপুরের ফুলবাড়ী শাখা পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের সকল কার্যক্রম। ব্যাংকের বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের জেনারেটরটিও অকোজ হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ব্যাংকের অনেক গ্রাহক। গ্রাহকদের অভিযোগ দীর্ঘদিনযাবৎ জেরারেটরটি অকোজ। কারেন্ট গেলেই বন্ধ হয়ে যায় ব্যাংকে সকল কার্যক্রম।
আজ বৃস্পতিবার সকাল ৯ টা ৪০ মিনিট থেকে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট ঘণ্টাব্যাপী ছিল বিদ্যুৎ লোডশেডিং। এসময় অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে ব্যাংকিং সেবা চালু থাকলেও পুরো একঘণ্টা বন্ধ ছিল পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের সকল কার্যক্রম।
জানা যায়, ঘণ্টাব্যাপী বিদ্যুৎ লোডশেডিং ছিল পুরো ফুলবাড়ী। সেই সঙ্গে ব্যাংকটির বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহকারী জেনারেটরটিও ছিল অকেজ। যার ফলে পুরো বিদ্যুৎহীন হয়ে অন্ধকারে ছেয়ে ছিল এই শাখাটি।
ব্যাংকিং সেবাগৃহীতা কৃষক কিনা মন্ডল, কামরুজ্জামান ও আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সকাল ১০ টায় ব্যাংকে এসেছি। এসেই দেখি পুরো ব্যাংক অন্ধকার। ব্যাংক কর্মকর্তার কেউ কেউ বসে আছেন, আবার কেউ কেউ জেনারেটর ঘরে দাঁড়িয়ে আছেন। জানা যায় বিদ্যুৎ নাই তাই ব্যাংকের সকল কার্যক্রম বন্ধ।
এসময় জরুরি থাকায় কেউ কেউ সেবা না নিয়েই ফিরে গেছেন। ইতোপূর্বেও কারেন্ট না থাকায় ব্যাংকটির সেবা বঞ্চিত হয়েছে অনেকে। তাদের জেনারেটর সমস্যা। যার কারণে তারা না-কি আজ ঘণ্টাব্যাপী কোনো সেবা
প্রদান করতে পারেননি।
ব্যবসায়ী গোলাম মওলা বলেন, আজ বৃহস্পতিবার তাই সকাল ১০টায় ব্যাংকে এসেছি মহাজনের কাছে টাকা পাঠাবো বলে। ব্যাংকে এসে দেখি ব্যাংকে কারেন্ট নাই। অপরদিকে আমার ঢাকার মহাজন টাকার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন এখন কারেন্ট নাই আমাদের জেনারেটরও নষ্ট এখন টাকা পাঠানো যাবে না। অপেক্ষা করেন যদি ঠিক হয় তাহলে এখন, নাহলে কারেন্ট আসার পরে আসেন।
তার মতই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম। তিনিও ব্যবসার জরুরি কাজে টাকা তুলতে এসে ফিরে যান। পরে বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংক থেকে তিনি টাকা উত্তোলন করেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংটির এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকের জেনারেটরটি অনেকদিন থেকেই অকোজ। এই জেনারেটরটির বয়স হয়েছে। তাই সেটি মেরামত করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। এবিষয়ে ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তাদের গুরুত্ব দেয়া জরুরি।
ফুলবাড়ী শাখা পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা ব্যবস্থাপক সিনিয়র অফিসার দীপক চন্দ্র বলেন, বিদ্যুৎ ছিল না আর আমাদের জেনারেটরটির টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছিল। তাই ব্যাংকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। পরে জেনারেটর ভাড়া করা হয়েছে। আর আমাদের নষ্ট জেনারেটরের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বর্তমানে একটি জেনারেটর ভাড়া করে আনা হয়েছে।
এএজেড