শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বছর ধরে ইউএনও অফিসে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন

রংপুরে একজন বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন ঝুলে আছে এক বছর ধরে ইউএনও অফিসে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তার এ আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও এক বছর ধরে তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কোরাম পূরণ করতে না পারার অজুহাতে থেমে গেছে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণ না করে বিষয়টি গুরুত্বসহ আমলে নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় দিন যাপন করা বীরাঙ্গনা সুইটি আক্তার পুতুল।

বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির আবেদন করা ভুক্তভোগী নারী ও প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা প্রায়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইসাহাক আলী ওরফে টেঙ্গারু মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার পুতুল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।

মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পর সম্ভ্রম হারানো নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকায় বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেন সুইটি আক্তার পুতুল। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃপক্ষ রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেন।

রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কিন্তু কমিটি গঠনের প্রায় এক বছর হলেও এখন পর্যন্ত নানা কারণে কমিটির সদস্যরা একত্রিত হতে না পারায় কোরাম পূরণ হয়নি। কোরাম পূরণ না হওয়া ছাড়া তদন্ত বিলম্বে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা- এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রশাসন।

সুইটি আক্তার পুতুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবা ইছাহাক আলী ওরফে টেঙ্গারু মিয়া ছিলেন রংপুরের আলমনগর রেলস্টেশন এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা সহ স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। সেই ক্ষোভেই স্থানীয় ওয়াহেদ মিয়া নামে এক পাকিস্তানি দোসর আমাকে হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে তাদের কাছে বাহবা নিয়ে সটকে পড়েন। সেই থেকে আমি চার মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

যুদ্ধ শেষে ১৭ ডিসেম্বর ভারতীয় মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে উদ্ধার করে আমার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। সেই সময়ে আমার বাবা পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে এ ঘটনা আড়াল করে বিষয়টি গোপন রাখেন। কয়েক বছর আগে মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো নারীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশনা দেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পুনর্বাসন সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এম এ সামাদ সরকার আমাকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করেন।

তারপর থেকে আমি সেই রাজাকার ওয়াহেদ মিয়াকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন আন্দোলন করেছি। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর সদর উপজেলা কমান্ডার ও ইউনিট কমান্ডার বিগত ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর ১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা সহ আমাকে বীরাঙ্গনা নারী হিসেবে সুপারিশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি প্রেরণ করেছিলেন।

এই বীরাঙ্গনা আরও বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম সাল ১৯৫৩ সালের পরিবর্তে ভুলবশত ১৯৭৪ সাল হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আমার বীরাঙ্গনা স্বীকৃতির আবেদন বাতিল করে দেয়। এরপর ভোটার আইডি কার্ডে থাকা ভুল সংশোধন করতে দীর্ঘ কয়েক বছর সময় লেগে যায়।

অবশেষে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সংশোধিত আইডি কার্ড দিয়ে আমি পুনরায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে নতুন করে আবেদন করি। জামুকা কর্তৃপক্ষ আমার আবেদনটি গুরুত্বসহ আমলে নিয়ে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বীরাঙ্গনা যাচাইয়ের জন্য নির্দেশনা দেয়। আজ প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও আবেদনটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ হারুন বলেন, আমি নিজেই অনেকবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরও তিনি এ বিষয়টি আমলে নেননি। একজন অবহেলিত বীরাঙ্গনার যাচাই-বাছাই হয় না, এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে।

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন প্লাটুন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রভাবশালী কথিত কিছু মুক্তিযোদ্ধা ওই রাজাকারের টাকা খেয়ে পুতুলের প্রতি অবিচার করেছে। তবে নিঃসন্দেহে পুতুল একজন বীরাঙ্গনা নারী। তার বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন।

এ বিষয়ে মুজিব ক্যাম্পের প্রশিক্ষক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেন চাঁদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন ইছাহাক আলী টেঙ্গারু মিয়া। তার মেয়ে পুতুল পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পুতুলের আবেদনটি কী কারণে আটকে রাখা হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়। কোনো একটি চক্র তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে হচ্ছে।

খোঁজ জানা গেছে, পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বীরাঙ্গনা যাচাই-বাছাই তদন্ত কমিটি গত এক বছরে একবারও কোরাম পূরণ করতে পারেনি। এই কমিটিতে কারা‌ রয়েছেন এবং কত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা করতে হবে এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে রাজি হয়নি উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নুর নাহার বেগম বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না। ইতোমধ্যে তদন্তে‌ সহযোগিতা করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছ থেকে দুইজন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়েছি। তবে কেন তদন্তে বিলম্ব এবং কোরাম পূরণ হচ্ছে না, এটিও খতিয়ে দেখা হবে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এএজেড

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত