রংপুরের ৫৮ ভোটকেন্দ্রে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়
রংপুর বিভাগের ৮ জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে প্রতিটি কেন্দ্রে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরির দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। সব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনসহ সব সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, দুপুরের পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে-কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএম মেশিনসহ সব সরঞ্জামাদি। কেন্দ্রগুলোর কক্ষে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এর আগেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। আনসার ও পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রে-কেন্দ্রে থাকবে র্যাবের টহল। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে বিজিবিকে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রাখা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তিনি আরও বলেন, রংপুর বিভাগের ৮ জেলা পরিষদে এবার ৫৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার রয়েছেন ৭ হাজার ৫৪৬ জন। ৮টি জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ৫৮টি সদস্য পদের বিপরীতে ১৯৫ জন এবং ২২টি সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের বিপরীতে ১৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় একজন করে ও দিনাজপুরে ২ জন সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে চলমান ভোটে বিভিন্ন স্থানে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রার্থী। প্রভাব বিস্তারেরও অভিযোগ আছে। ইতোমধ্যেই রংপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইলিয়াস হোসেন লিখিত অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু টাকা দিয়ে বিভিন্ন ভোটারকে প্রভাবিত করেছেন। এ ছাড়া অনেক ভোটারকে তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ভোট দিতে আগ্রহী করতে বাধ্য করেছেন।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এই অভিযোগ করেছেন।
সার্বিক বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আইনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড আমরা বরদাশত করব না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণে আমরা সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। কেউ কোনো ধরনের আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এসজি