আমদানি বাড়লেও হিলিতে বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দাম
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। কিন্তু আমদানি বাড়লেও ভারতে বন্যার কারণে দাম বাড়ায় বাড়তি দামে কেনার অজুহাতে বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে বন্দরে পাইকারিতে কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়েছে। বাড়তি দামের কারণে বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও ক্রেতারা।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর, নগর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম বেড়েই চলছে। বন্দরে গত বৃহস্পতিবার ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৩১-৩২ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩৬-৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নগর জাতের পেঁয়াজ ৩৬-৩৭ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৪০-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম নামে এক পাইকার বলেন, পূজার আগে যে পেঁয়াজ ২২ টাকা বিক্রি হয়েছে সেই পেঁয়াজ দাম বাড়তে বাড়তে ৩৬ টাকা হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ যেসব মোকামে পেঁয়াজ পাঠাতাম তা করতে পারছি না। তারাও পেঁয়াজের দামের এই ঊর্ধ্বগতির কারণে পেঁয়াজ ক্রয় করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। বাজার কী হয় সেটি পর্যবেক্ষণ করছেন। এ কারণে আমাদের ব্যবসা বর্তমানে খুব খারাপ। এখন যাদের প্রয়োজন তারা হয়তো এক-দুই ট্রাক করে পেঁয়াজ কিনছেন। কিন্তু আমরা বাড়তি দামের কারণে পেঁয়াজ কিনতেই সাহস পাচ্ছি না।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন মুন্সি বলেন, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু অঞ্চলের বেলোরি জাতের পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসার কথা। কিন্তু সম্প্রতি বন্যার কারণে ওই অঞ্চলে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এ কারণে ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পেঁয়াজ যাচ্ছে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মেটাতে। এতে করে ভারতের বাজারেই সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ কারণে ট্রাক কম ঢুকছে। একই সঙ্গে ট্রাকপ্রতি অনলাইন ফি দিতে হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে পণ্যের উপর। ভারত থেকে বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে বলে দেশের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকার পাশাপাশি আমদানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। বন্দর দিয়ে গত বৃহস্পতিবার ১৬টি ট্রাকে ৪২৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। সেখানে গতকাল শনিবার বন্দর দিয়ে ৩৩টি ট্রাকে ৯১৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজও বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
এসজি