৩৮০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ এখন ২০ টাকা!
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক মাস আগে কাঁচামরিচের কেজি ছিল প্রকারভেদে ৩৬০-৩৮০ টাকা। সেই মরিচই এখন পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ১৫-২০ টাকায়। মরিচ তুলতে যে মজুরি দিতে হচ্ছে, সেই টাকাও উঠছে না বলে দাবি মরিচ চাষিদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে কাঁচামরিচ চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মরিচ চাষ বেশি হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ এবং আগস্টের শুরু থেকেই উপজেলার পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম ছিল প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৩৬০-৩৮০ টাকা। সে সময় কৃষকের মুখে হাসি থাকলেও নাভিশ্বাস উঠে ক্রেতা সাধারণের।
এক মাস পর শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পৌর এলাকার পাইকারি মরিচের বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বেচাবিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকায়।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মরিচ চাষি পরিক্ষিত চন্দ্র রায় বলেন, জমি থেকে মরিচ তুলতে একজন নারী শ্রমিকের মজুরি দিতে হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। এই শ্রমিক সারা দিনে ২০-২২ কেজি মরিচ তুলতে পারেন। মরিচ বিক্রি করে শ্রমিকের মজুরিও উঠছে না।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, আগে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় তখন চাহিদানুযায়ী মরিচ কেনা যায়নি। কিন্তু দাম কমে আসায় এক কেজি কাঁচামরিচ কিনেছেন।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী পৌরসভার খুচরা সবজি বিক্রেতা সুব্রত সরকার বলেন, কাঁচামরিচের দাম বেশি থাকায় মরিচের বেচাবিক্রি একেবারেই কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন দাম কমে আসায় ক্রেতা সাধারণ চাহিদানুযায়ী মরিচ কিনছেন। বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি মরিচ ১৮-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী দীপক কুমার ও অজয় দত্ত বলেন, এক মাস আগে কাঁচামরিচের আমদানি কমে যাওয়ায় মরিচের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে নিজস্ব উৎপাদিত কাঁচামরিচের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকায় মরিচের দাম কমে গেছে। তাই বিক্রি বেড়েছে। তবে প্রতিবছরই এই সময় কাঁচামরিচের দাম কমে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমে আসলে ক্রেতা সাধারণের স্বস্তি মেলে। কেউ যেন অযাচিতভাবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কোনো প্রকার নিত্যপণ্যে দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে উপজেলা প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
এসজি