পথহারা নেতাদের শায়েস্তা করা দরকার: শাজাহান খান
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পথহারা রাজনৈতিক নেতা ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, তার মতো রাজনৈতিক নেতাদের শায়েস্তা করা দরকার।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশের মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছিল বিএনপি। এই চক্র ২০০৪ এবং ২০১৪-২০১৫ সালে গাড়িতে পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসী দলের কার্যক্রম দেশ ও জনগণের বিপক্ষে। তাদের মহাসচিবের দাবি তারা নাকি সন্ত্রাসী দল না, সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। তাহলে সন্ত্রাসী দল কারা।
শাজাহান খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল। তাদের রাজনীতি মানে জ্বালাও পোড়াও। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্পর্কে বিশ্ববাসী জানে। এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই সন্ত্রাসী দল আবার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে চায়। তাদের আর তাণ্ডব চালাতে দেওয়া হবে না। এবার তাদের শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে। একই সঙ্গে কিছু পথহারা রাজনৈতিক নেতা যারা বেশ লাফালাফি করছে তাদেরকেও শায়েস্তা করা দরকার। দলীয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে আগামীতে রাজপথে থেকে বিরোরী অপশক্তিকে মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক মন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন, বিএনপি-জামায়াত চক্র সক্রিয় হচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য দেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। এই অপরাজনৈতিক শক্তিই পঁচাত্তর পরবর্তী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। এই দেশবিরোধী শক্তিকে যেকোনো মূল্যে রুখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশকে রাজাকার, আল-সামসদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজপথে উত্তাপ ছড়াতে চেষ্টা করবে বিএনপি-জামায়তসহ তাদের দোসররা। এ কারণে আওয়ামী লীগসহ সব অঙ্গ সংগঠনকে আরও বেশি সংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি-জামায়াতকে তাদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু।
এসজি
