মাকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে মাটিচাপা, ছেলে আটক
রংপুরের কাউনিয়ায় নিজের মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখার এক সপ্তাহ পর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে হারাগাছ ইউনিয়নের সিট নাজিরদহ গ্রামের নিজ বাড়ির ঘরের মেঝে খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীর ছেলে জামিল হোসেনকে আটক করেছে কাউনিয়া থানা পুলিশ। বিষয়টি বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছির বিল্লাহ।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, উপজেলার তিস্তা নদীর সিট নাজিরদহ মনোরদী পাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছোট ছেলে জসিম মিয়া একটি এনজিও থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা ঋণ দেন। সেই টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে জসিম মিয়া হতাশায় ভুগছিলেন। ঋণের টাকা পরিশোধের হাত থেকে বাঁচতে গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জসিম মিয়া তার মা জামিলা বেগমকে (৬০) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে মায়ের মরদেহ তার শয়ন ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুঁতে রাখেন।
গত শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে জামিলার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে জামিলার সন্ধান পায়নি। বুধবার বিকেলে জামিলার বাড়িতে গিয়ে তার ঘরের মেঝে উঁচু দেখে তাদের সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। গতকাল সন্ধ্যার দিকে জসিম মিয়ার ঘর থেকে দুর্গন্ধ এলে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন জসিম মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রাথমিকভাবে তিনি মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
স্থানীয়রা জানান, জামিলের বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করেন। ওই বাড়িতে জামিল ও তার মা থাকতেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছির বিল্লাহ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জমিলার ছেলে জামিলকে আটক করা হয়েছে। জমিলার মরদেহ পুঁতে রাখার কারণ কী এবং এর সঙ্গে কে জড়িত এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
এসএন