কুরিয়ারের মাধ্যমে পাচারকালে পঞ্চগড়ে ২১২ বস্তা চা জব্দ
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পঞ্চগড়ে সদাগর এক্সপ্রেস লিমিটেড কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২১২ বস্তা তৈরি চা জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সোমবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মিঠাপুকুর এলাকায় অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানটির পঞ্চগড় শাখার ভেতরে রাখা চায়ের বস্তাগুলো জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চায়ের কালোবাজারিদের ধরতে মাঠে কাজ করছিল জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সোমবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দারা ওই কুরিয়ার সার্ভিসের ভেতরে বিপুল পরিমাণ চা দেখতে পান। এর মধ্যে ২০০ বস্তা পাঠানো হচ্ছিল শ্রীমঙ্গলসহ দেশের প্রায় ১০টি জেলার বিভিন্ন স্থানে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের শ্রীমঙ্গল থেকে এসেছে ১২ বস্তা। প্রতিটি বস্তায় রয়েছে ৫০ কেজি করে তৈরি চা। ২১২ বস্তা তৈরি চায়ের আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
পরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তৈরি চায়ের বস্তা ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় পঞ্চগড় চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীম আল মামুন ও পঞ্চগড় কাস্টমসের সুপারিন্টেডেন্ট আবু সরোয়ার, পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের একটি দলসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক বলেন, ’আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি যে এখানে কিছু চায়ের বস্তা আছে যেগুলো সদাগর কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এখানে আমরা মোট ২১২টি বস্তা পেয়েছি, যেগুলোর মধ্যে একটিও বৈধ কাগজ পাইনি। এজন্য ভ্যাট সঠিকভাবে দিয়ে তারা বাজারজাত করছে কি না কিংবা ডিলার থেকে সঠিকভাবে ক্রয় করে তারা এখানে পাঠাচ্ছে কি না এ বিষয়টি যাচাইপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা ২১২ বস্তাই জেলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি।’
এসআইএইচ