ঠাকুরগাঁওয়ে যত্রতত্র গড়ে উঠছে করাতকল
জেলায় দিন দিন বাড়ছে করাতকলের সংখ্যা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠা এসব করাতকলে অবৈধভাবে কাটা গাছ সহজেই বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল, ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। অন্যদিকে জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না তাদের।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জেলায় রাস্তার আশপাশে গড়ে উঠছে নতুন নতুন করাতকল। এসব করাতকলের বেশিরভাগ মালিকদের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।
এই সুযোগে এক শ্রেণির সুযোগ সন্ধানীরা রাস্তার পাশে এবং বনায়নে রোপণকৃত গাছ অবৈধভাবে কেটে গড়ে উঠা করাতকলে সহজেই বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। আর বিক্রি করা গাছ মুহূর্তেই করাতকলে চেরাই করে কাঠ হিসেবে বিক্রি করছেন মালিকরা।
ঠাকুরগাঁও রেঞ্জ বনবিভাগের তথ্য মতে, ২০২০ সালে জেলায় ২০৩টি করাতকল ছিল। বর্তমানে এর সংখ্যা ২৪৯টি। এসব করাতকল মালিকদের বনবিভাগের অনুমতি থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া বেশিরভাগের নেই পরিবেশের ছাড়পত্র।
ঠাকুরগাঁও সদরের বরুনাগাঁও, জগন্নাথপুর, গড়েয়া, সালন্দরসহ প্রতিটি করাতকলে প্রতিদিন শত শত গাছ চেরাইয়ের কাজে নিয়জিত শ্রমিকরা বৈধ কিংবা অবৈধ গাছ যাচাই না করে ক্রয়ের কথা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন মালিকরা। আর স্থানীয়দের অভিযোগ যোগসাজশেই এমন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সুযোগ সন্ধানীরা।
সুখানপুখুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, তদারকি করার পরেও কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না অবৈধভাবে গাছ কর্তনকারীদের। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
ঠাকুরগাঁও সামাজিক বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বনবিভাগের দায়িত্ব হনন করে নেওয়ায় সরকারি গাছ চুরি কিংবা কর্তন হলেও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, অবৈধভাবে সরকারি গাছ কর্তনকারীদের মামলা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে করাতকল মালিকরা এমন ব্যবসা যেন চালাতে না পারে তা মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর হওয়ার কথা জানান তিনি।
এসজি/