'নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধে সরকার ব্যর্থ'
সরকার বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি রোধের ব্যর্থতা আড়ালের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে রংপুরে গণতন্ত্র মঞ্চ। সংগঠনটির নেতাদের দাবি, বর্তমানে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম হু-হু করে বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্য ক্রয়ের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এভাবে দেশ চলতে থাকলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি পেশার মানুষেরা নীরব দুর্ভিক্ষের মুখে পড়বে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ অভিযোগ তুলে ধরে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন গণতন্ত্র মঞ্চ।
বিক্ষোভ সমাবেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও সংবিধান সংস্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ নামের নতুন এই রাজনৈতিক জোট। সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ভোটারবিহীন এই সরকার জনগণকে উন্নয়নের বুলি কপচিয়ে ব্যর্থতা আড়ালের চেষ্টায় মেতেছে। বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের নামে সরকার কুইক রেন্টাল দিয়ে হাজার হাজার কোটি লুটপাট চালিয়েছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে জনগণের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শতভাগ বিদ্যুৎ এর গল্প শুনিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের প্রায় লক্ষ কোটি টাকা বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোকে তুলে দিয়েছে। বিশ্ব বাজারের দোহাই দিয়ে এখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলা করতে চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশ পরিচালনায় এই সরকার এখন পুরোপুরি ব্যর্থ।
নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, ক্ষমতাসীনরা লুটপাট-পাচার নিরঙ্কুশ করতে জ্বালানি খাতের আইনগুলোতে দায়মুক্তি দিয়েছে। যাতে করে সরকারকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা না যায়। এখন দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে পুলিশ সহ সরকার দলীয় পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিরোধি রাজনৈতিক শক্তির প্রতি সরকারের দমন, নিপীড়ন ও নির্যাতনে সাধারণ জনগণ ভয়ে আছেন। রাতের বেলা জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও মানুষজন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সহ সবকিছুর দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
গণ অধিকার পরিষদে বক্তারা বলেন, স্বাধীন দেশের পুলিশ চলে বৃটিশদের রেখে যাওয়া ১৮৬১ সালের পুলিশ আইনে। তাই দেশ স্বাধীন হলেও পুলিশ আসলে রয়ে গেছে সেই ব্রিটিশ আমলের। এখনও বৃটিশদের রেখে যাওয়া কলোনিয়াল আইনের কারণে পুলিশ এদেশের মানুষের উপর কলোনিয়াল কায়দায় জুলুম নির্যাতন চালায়। দেশের আইন ও সংবিধানে পুলিশসহ রাষ্ট্রীয় যেকোনো বাহিনীকে এমনকি নিরস্ত্র মানুষের উপর গুলি চালিয়ে হত্যারও দায়মুক্তি দিয়েছে। ৭২ সালে সংবিধান তৈরির সময় এইসব ব্রিটিশ কালা-কানুন যেমন পাল্টানো হয়নি। বাংলাদেশকে এই অবস্থা থেকে বের করতে হবে।
এএজেড