ফুলবাড়ীতে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ল ১২ টাকা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০-১২ টাকা। প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৪-৩৬ টাকা। ৪ দিন আগে একই পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২৫-২৬ টাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে ফুলবাড়ী পৌরসভার পাইকারি ও খুচরা পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৪ দিন আগে ভারত থেকে আমদানিকৃত যেসব পেঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ২৫-২৬ টাকা দরে ও খুচরা বাজারে ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সেসব পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ৩৪-৩৬ টাকা ও খুচরা বাজারে ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রতন চক্রবর্তী জানান, গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) খুচরা বাজারে ভালো মানের এক কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ২৯ টাকায়। আজ সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়। যেভাবে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের পরিবারের মানুষের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়বে।
ফুলবাড়ী বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সুব্রত সরকার বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ কেনার কারণে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে বেচাকেনা কমে গেছে।
ফুলবাড়ী বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবেদ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। ২৫-২৬ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বেচাবিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৬ টাকায়।
তবে হিলির আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের দাম উঠানামা করার কারণে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামও বেড়ে গেছে। এ কারণে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫-৪৮ টাকা দরে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, কী কারণে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে গেল সেটি দেখা হবে। যদি ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বেচাকেনা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসজি/