চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রদানে গরিমসির অভিযোগ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রদানে মন্ত্রণালয় থেকে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে দায়িত্ব না দিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ কে দায়িত্ব দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোজাফ্ফর হোসেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ১৯৯৮ সালের উপজেলা পরিষদের ২৪ নম্বর আইনের ১৫ ধারায় বলা আছে, ‘পরিষদ গঠনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত সভার এক মাসের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যানরা তাদের নিজেদের মধ্যে হতে অগ্রাধিকারক্রমে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি চেয়ারম্যানের প্যানেল নির্বাচিত করবেন।’ সেই মোতাবেক ২০১৯ সালের ২৮ মে উপজেলা পরিষদ মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে (ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন) প্যানেল চেয়ারম্যান-১ নির্বাচিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ৪ জুলাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুজনিত কারণে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক ২০২২ সালে ৭ আগষ্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মমতাজ বেগমের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসে। যাতে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-০১ শাখার স্বারক নং ৪৬.০০.০০০০.০৪৬.১৮.১৫৪.১৯-১৬০ যার তারিখ ৭ আগষ্ট ২০২২ইং মূলে উপজেলা পরিষদ (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমালা ২০১০ এর ১৫(৩) ধারা অনুযায়ী নতুন চেয়ারম্যানের কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যানের প্যানেল থেকে ১ নম্বর (মোজাফ্ফর হোসেন) কে অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্বসহ আর্থিক ক্ষমতা নির্দেশক্রমে প্রদান করা হয়।
প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোজাফ্ফর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেলের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলা হলেও তিনি দায়িত্ব প্রদানে কার্যকরি কোনো ব্যবস্থা না করে টালবাহানা করছেন এবং অবৈধভাবে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ কে দায়িত্ব দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, অনলাইনে চিঠির সফ্ট কপি পেলেও অফিসিয়ালি হার্ড কপি এখনও পাইনি। ১৪ আগষ্ট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসআইএইচ