সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই
সোনালী ব্যাংকের টাকা অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার রহস্য
ভাউচারে জমা হওয়া একটি বেসরকারী ব্যাংকের ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখা থেকে অন্য একাউন্টে চলে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এক সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামী মো. আবু তাহেরকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়। তিনি রাঙ্গামাটির রাজস'লী এলাকার মো. আবদুস সহিদের ছেলে।
৬ জুলাই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গাইবান্ধা শাখার এক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক, গাইবান্ধা প্রধান শাখায় ৩কোটি ২৫ লাখ টাকার ভাউচার জমা দেন। ওই টাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের একটি একাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার কথা থাকলেও জমা হয় ঢাকার আল আমির ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি হিসাব নম্বরে। এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়া না নিয়ে টাকা সমন্বয় করার চেষ্টা করেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করলে ১০ আগষ্ট পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে।
পিবিআই এর পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ জানান, গাইবান্ধা শাখা থেকে সংশিষ্ট একাউন্ট নাম্বারের একটি ডিজিট ভুল করে আল আমির ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারি ওই মো. আবু তাহেরের হিসাব নাম্বারে জমা হয়। ওই হিসাব নাম্বারটি চেক করে দেখা যায়, আবু তাহের ৩কোটি ১০লাখ টাকা উত্তোলণ করে বিভিন্ন একাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন। একাউন্টে রয়েছে ১৫লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অভিযোগে পুলিশ ও পিবিআই এর সার্বিক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পিবিআইয়ের গাইবান্ধা ও ঢাকার একটি টিম মো. আবু তাহেরকে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩০লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। অবশিষ্ট ২কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারে ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পিবিআই তৎপরতা চালাচ্ছে।
এএজেড