সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়ে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার পর রাজশাহী-চিলাহাটি চলাচলকারী আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলপুকুর এলাকায় লাইনচ্যুত হয়।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসার কিছুক্ষণ পর বেলপুকুর নামক স্থানে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। এর দুটি চাকা লাইনের বাইরে এসেছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, এটিই রাজশাহী স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রথম ট্রেন। ফলে আজ সকাল থেকেই রাজশাহী স্টেশন থেকে অন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। রাজশাহী অভিমুখে আসা ট্রেনগুলোও পথে আটকা পড়েছে। উদ্ধার কাজ শেষে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

Header Ad
Header Ad

মাহফিলে ‘তুমি’ সম্বোধন করা নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন আজহারী

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

ওয়াজ মাহফিলে শ্রোতাদের উদ্দেশে "তুমি" সম্বোধন করার বিষয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তবে এ নিয়ে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে স্ট্যাটাসে আজহারী জানান, তিনি সাধারণত শ্রোতাদের "আপনি" বলেই সম্বোধন করেন। তবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেশি স্নেহবোধ থেকেই মাঝে মাঝে কিশোর এবং তরুণ শ্রোতাদের "তুমি" সম্বোধন করেন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মাহফিলগুলোতে সাধারণত শ্রোতাদেরকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করি। মাঝে মাঝে কিশোর ও তরুণ শ্রোতাদের ‘তুমি’ বলে এড্রেস করি। কখনো ঢালাওভাবে ‘তুমি’ সম্বোধন করি না’।

তিনি আরও বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন মাহফিলগুলোতে বেশিরভাগ শ্রোতা ছিলেন বয়স্করা। পঞ্চাশ কিংবা ষাটোর্ধ্ব মুরুব্বিরা। আলহামদুলিল্লাহ সময় বদলেছে। এখন মাঠে জেন-জি দেরকে আমরা শ্রোতা হিসেবে পাচ্ছি। তরুণ প্রজন্মের এই ছেলেগুলো আপনি-র চেয়ে তুমি বললেই বেশী উৎফুল্ল হয়। আর তুমি বলে, আমিও সহজেই তাদের সাথে কানেক্ট করতে পারি’।

পোস্টের শেষে তিনি বলেন, ‘মূলত ওদেরকে বেশি আপন করে নিতেই, স্নেহভরে এই ‘তুমি’ সম্বোধন। আপনি-তুমির মিশেলে চলুক না আমাদের ভাবের এই আদান প্রদান’।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবং গবেষণার উদ্দেশ্যে তিনি মালয়েশিয়া চলে গিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ সময় পর গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে ফিরে মাহফিলে অংশ নেন। সম্প্রতি তার তাফসীর মাহফিল ঘিরে সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে জড়ো হয়েছিলেন লক্ষাধিক শ্রোতা। বিপুল সমাগমের কারণে মাহফিল পরিচালনায় বেগ পেতে হয় মিজানুর রহমান আজহারীকে।

মঞ্চের ঠিক সামনের সারিতে উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন মাওলানা আজহারী। শেষ পর্যন্ত মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সংক্ষিপ্ত করেন। এসময় মোনাজাত শুরুর আগে অনেকটা বিরক্তির সুরেই মিজানুর রহমান আজহারী বলে উঠেন, ‘সিলেট আজকে কী করেছ, এটা মনে থাকবে’।

Header Ad
Header Ad

ঝগড়ায় ভালোবাসা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, বলছে গবেষণা

প্রতীকী ছবি

সম্পর্কে তিক্ত মধুর ,আনন্দ- বেদনা মিশ্রণের ফলশ্রুতিতে প্রকৃত ভালোবাসার জন্ম হয়। সম্পর্কে মাঝে যেমন সুখ আছে তেমনি ঝগড়াতে সম্পর্কের মাঝে ফাটলের পর্যায়ে চলে যায়।

আবার মান অভিমান, ঝগড়া ভুলে একে অন্যের কাছেই ছুটে যায়। তখন নাকি ভালোবাসার গভীরতা আরও বেড়ে যায়। প্রেম-ভালোবাসায় মানুষ যেমন একে অন্যকে ছাড়া থাকতে পারে না।

ঝগড়া কি শুধু সম্পর্ক নষ্ট করে? মোটেও না, বরং ঝগড়া করলে সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও মজবুত হয়। আবার ভালোবাসাও বাড়ে দ্বিগুণ। গবেষণা বলছে, রাগ পুষে না রেখে বরং মন খুলে ঝগড়া করে সম্পর্কের যত্ন নিন। সবারই নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার আছে।

তবে তাই বলে এই ছোট ছোট ঝগড়া অশান্তিগুলোকে বড় করে দেখবেন না। মনে রাখবেন ঝগড়া না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। ঝগড়া করলে মন হালকা হয়। অন্যদিকে ঝগড়া না করলে ভেতরে জমা কথা এক সময় মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। জানলে অবাক হবেন যে, ঝগড়া করলেও মেলে উপকার। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

অভিমান দূর হয়
ঝগড়ায় মনে পুষে রাখা অভিমান দূর হয়। সঙ্গীর যে কোনো কাজ খারাপ লাগতেই পারে।তবে সেই খারাপ লাগা নিজের মধ্যে পুষে না রেখে মুখের উপর বলে দিন। দেখবেন সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে। হয়তো মনোমালিন্য হতে পারে। মুষলধারে বৃষ্টি শেষে যেমন আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়, তেমনই দীর্ঘ ঝগড়ার শেষে মান-অভিমান দুজনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত ও দৃঢ় হয়।

ধৈর্যশক্তি বাড়ায়
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া দুজনকে আরও ধৈর্যশীল করে তোলে। অনেকক্ষণ ঝগড়ার পর আপনার হয়তো ক্লান্ত লাগতে পারে কিংবা অশান্তি বাড়াতে না চাইলে চুপ হয়ে যেতে পারেন। এর অর্থ হলো আপনি ধৈর্য্যধারণ করছেন। আপনার এমন মনোভাব দেখে একসময় সঙ্গীও চুপ হয়ে যাবেন। এ কারণে ঝগড়া মানুষকে ধৈর্যশীল করে তোলে।

সম্পর্ক মজবুত হয়
ঝগড়ায় মন হালকা হয়, এমনটিই বলছেন মনোবিদরা। বর্তমানের যান্ত্রিক জীবনে সবাই ব্যস্ত। একে অপরকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না অনেক দম্পতিই। তাদের ক্ষেত্রে ঝগড়া সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। এমন দম্পতিরা প্রয়োজনে অকারণেই ঝগড়া করুন। সারা সপ্তাহ সঙ্গীর প্রতি যত রাগ অভিমান পুষে রেখেছেন সব বলে দিন। মন হালকা করুন।

বিশ্বাস বাড়ে, সন্দেহ দূর হয়
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দাম্পত্যে ঝগড়া হতে পারে। এর ফলে বিশ্বাসের ভিত আরও মজবুত হয়। কারণ ঝগড়ার মাধ্যমে মনের লুকানো ক্ষোভ ও অভিমান প্রকাশ পায়। এর ফলে দুজনের বিশ্বাসের বন্ধনটা অনেক দৃঢ় হয়। অনেকেই সঙ্গীর প্রতি সন্দেহপ্রবণ হয়ে ঝগড়া কিংবা অশান্তি করেন। এক্ষেত্রে সঙ্গীও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে, সব মিলিয়ে দুজনের মধ্যকার অবিশ্বাস ও সন্দেহ দূর হয়ে যায় মুহূর্তেই।

 

 

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে

শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

জুলাই ও আগস্টের গণহত্যায় শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড ও গুমের তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা ও বি এম সুলতান মাহমুদ।

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, গুমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। তবে ট্রাইব্যুনালে তথ্য প্রদানে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন প্রসিকিউটররা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর তানভীর জ্বোহা জানান, গুমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। হত্যাকাণ্ডের আলামত গায়েব করতে সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছিল।

ট্রাইব্যুনালে বলা হয়, প্রথমে কোটা এবং তারপর সরকার পতনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

এদিকে এসব কল রেকর্ডের ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

এ বিষয়ে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, অনলাইন প্লাটফর্ম ও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সময়ে শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কলরেকর্ডের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসঙ্গত, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে নানা আলাপ হলেও এর প্রকৃত সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি তালিকা অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৭০৮। নিহতের সংখ্যা নির্ধারণে তালিকা তৈরির কাজ চলমান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাহফিলে ‘তুমি’ সম্বোধন করা নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন আজহারী
ঝগড়ায় ভালোবাসা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, বলছে গবেষণা
শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে
রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্ন, এক ডলারে ৮৬ রুপি
যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি, বিএনপির দুঃখ প্রকাশ
নগদে ২৩০০ কোটি টাকার অনিয়ম, অবৈধ ই-মানি ৬০০ কোটি: গভর্নর
রাজনৈতিক চাপের মুখে বিএমডিএ, নিয়োগ বাতিল হচ্ছে সাড়ে ৪ হাজার কর্মচারীর!
সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের বর্বরতা, ১ দশকে নিহত ২৮৯ বাংলাদেশি
১০ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি আরব
রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
সায়ান এফ রহমান ব্রিটিশ রাজার দাতব্য সংস্থায় ‘আড়াই লাখ পাউন্ড’ দান করেন  
জবির গেটে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা
বাবা হারালেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী
অতিবৃষ্টিতে সবুজ হচ্ছে সৌদির মরুভূমি, যা কেয়ামতের আলামত
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়: ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত  
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আনন্দ মোহন কলেজ হল বন্ধ ঘোষণা  
সীমান্তে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের  
দেশের মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি  
নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া  
রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতল বার্সা