রাণীনগরে বিএনপির পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আ.লীগের ৫৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা বিএনপি'র পার্টি অফিসে (দলীয় কার্যালয়ে) অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামীলীগের ৫৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোসারব হোসেন বাদি হয়ে রবিবার (২৫ আগস্ট) রাতে রাণীনগর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের ৫৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরও ৫০-৬০ জনকে। বিষয়টি সোমবার ২৬ আগষ্ট বিকালে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মেহেদী মাসুদ।
ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
শনিবার ২৪ আগষ্ট রাতের অন্ধকারে উপজেলা বাসট্যান্ড এলাকায় উপজেলা বিএনপির পার্টি অফিসে (দলীয় কার্যালয়) অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। দেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বরিবার ২৫ আগষ্ট সকালে উপজেলা বিএনপি ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর প্রায় ১৫ বছর পর রাণীনগর উপজেলায় একসাথে ৫৬ জন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোসারব হোসেন জানান, আমরা শনিবার দলীয় কার্যক্রম শেষে পার্টি অফিসে তালা দিয়ে চলে যাই। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পার্টি অফিসে এসে এক নং আসামীর হুকুমে ২ ও ৩ নং আসামী দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর পার্টি অফিসে ঢুকে চেয়ার, টেবিল ও টিভিসহ আসবারপত্র ভাঙচুর করে। সেই সাথে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ছবি এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকায় আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে পার্টি অফিসে থাকা বেশ কয়েকটি ছবি, ব্যানার এবং প্রযোজনীয় কাগজপত্র পুড়ে গেছে। এছাড়া তারা যাওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আমরা ধারনা করছি শান্তিপূর্ন পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাদের অবস্থান জানান দিতে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করেছি।