৪৩ মণ ওজনের নাতিবাবুর দাম ১৫ লাখ টাকা
৪৩ মণ ওজনের বিশালকৃতির ষাঁড় নাতিবাবু। ছবি: সংগৃহীত
চার বছর ধরে লালনপালন করে বিশালকৃতির ষাঁড়ে পরিণত করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ঠান্ডু প্রামাণিক। নাতির মতো আদরে বড় করে তুলেছেন বলেই এই ষাঁড়টির নাম রেখেছেন নাতিবাবু। ৪৩ মণ ওজনের দানবাকৃতির এই ষাঁড়টিই দেশের সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে ধারণা স্থানীয়দের।
শাহজাদপুর উপজেলার নিভৃত পল্লী ঘোরশাল নতুনপাড়া গ্রামে কৃষক ঠান্ডু প্রামাণিকের খামারে বেড়ে উঠেছে বিশাল আকৃতির এ ষাড়টি। ঈদুল আজহায় ষাঁড়টিকে বিক্রির কথা জানিয়েছেন তিনি। দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। এরই মধ্যে শাহজাদপুর উপজেলার নিভৃত গ্রামের একটি খামারে বেড়ে ওঠা বিশাল আকৃতির নাতিবাবু এখন সবার মুখে আলোচনায়। সাড়ে ৯ ফুট লম্বা ও ছয় ফুট উচু হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান শংকর জাতের এ গরুটি নজর কেড়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের।
ঠান্ডু প্রামাণিক বলেন, চার বছর আগে শখের বসে গরুটি কেনেন তিনি। নিজের বাড়িতে ফার্ম করে সম্পূর্ণ দেশি খাবার, কাচা ঘাস, খৈল, ভুসি, খড়, সাইলেস ইত্যাদি খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে নাতিবাবুকে। বর্তমানে এর ওজন দাঁড়িয়েছে ৪৩ মণে।
তিনি বলেন, নাতির মতো আদর করে গরুটিকে লালনপালন করেছেন বলেই গরুটির নাম দিয়েছেন নাতিবাবু। এবার ঈদেই ছেড়ে দিতে হবে তাকে। তাই কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারী এসে দেখছেন গরুটি।
স্থানীয়দের মতে নাতিবাবুই দেশের সবচেয়ে বড় গরু। এ রকম বড় গরু তারা এর আগে বাস্তবে দেখেননি কেউ। তইতো বিশাল আকৃতির গরুটিকে একনজর দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ নাতিবাবুর মতো বড় আকারের গরু পালনকারীদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করছে।