বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহারে ৪৬ প্রার্থীর ২৫ জনেই জামানত হারালেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গত মঙ্গলবার নওগাঁর তিন উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৪৬ জন। এর মধ্যে ২৫ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে নির্বাচন কমিশনে তাঁর জামা দেওয়া টাকা (জামানত) বাজেয়াপ্ত হবে।


রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পোরশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ১৪ জন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। পোরশা উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ১৭০ জন। চেয়ারম্যান পদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চেয়ারম্যান পদে ৪১টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৬৯ হাজার ৬৯৪টি। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট, যা পাননি একজন প্রার্থী। ফলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হতে যাচ্ছে। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই প্রার্থী হলেন, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৯৫টি।

পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ২৬ হাজার ২০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ২২ হাজার ৪৬৭ ভোট। আরেক প্রার্থী পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬০৮ ভোট।

পোরশায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বিজয়ী প্রার্থী ছাড়া বাকি ৯ জনই জামানত হারাচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৬৯ হাজার ৫৭৩টি। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১০ হাজার ৪৩৫ ভোট। এই পরিমান ভোট পাননি ৯ প্রার্থী। এখানে বই প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মাহমুদুল হাসান ১৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চারজন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৬৯ হাজার ৫২৬টি। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১০ হাজার ৪২৮। এই পরিমান ভোট পাননি চারজন প্রার্থী। এখানে হাঁস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মমতাজ বেগম ২৯ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৭৫৬ জন। এখানে চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১২৭ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৬৮, যা পাননি দুই প্রার্থী। তাঁরা হলেন, আবেদ হোসেন মিলন ও সোহরাব হোসেন। আবেদ হোসেন মিলন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। সোহরাব হোসেনের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। এখানে ৩৯ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদ আহমেদ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৬ ভোট।

নিয়ামতপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে তিন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৭ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৫২ ভোট। এই পরিমান ভোট পাননি তিন প্রার্থী। এখানে রায়হান কবির চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৪১ হাজার ২৪১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন এক প্রার্থী। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৭৪। এর ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৪৬ ভোট। এই পরিমান ভোট পাননি একজন প্রার্থী। এখানে হাঁস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে নাজমিন আরা খাতুন ৪৩ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

সাপাহার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। সাপাহারে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৯। এখানে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৪৮৩ ভোট। এর ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১১ হাজার ৬২২ ভোট, যান পাননি একজন প্রার্থী। জামানত হারানো ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম নার্গিস সরকার। তিনি উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এখানে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে শাহজাহান হোসেন মন্ডল ৩৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সাপাহারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে দুইজন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৪৮৩ ভোট। এর ১৫ শতাংশ ১১ হাজার ১৩ ভোট। এই পরিমান ভোট পানননি দুই প্রার্থী। এখানে নইমুদ্দীন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৪২ হাজার ২১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৭৭ হাজার ৪৮৩ ভোট। এর ১৫ শতাংশ ১১ হাজার ১৩ ভোট, যা পাননি দুই প্রার্থী। এখানে কলস প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. ফাহিমা।

Header Ad
Header Ad

পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবিঃ সংগৃহীত

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন পণ্যে সরকারের বর্ধিত কর নিয়ে মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। যখন চালের দাম বাড়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে তখন অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই।

বুধবার (২২ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন হাসনাত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে সরকারকে তারা জনগণের কল্যাণে যৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে চাপে রাখতে পেরেছে বলে দাবি তার। পাঠকদের জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

এই দেশের অধিকাংশ মানুষ সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। দেশটা কেমন আছে সেটাও তারা বোঝার চেষ্টা করেন সহজ হিসাব-নিকেশের মধ্যেই। যখন চালের দাম বাড়ে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ে, বাবা-মা-সন্তানের মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে ব্যর্থ হয় মানুষ, তখন তারা ধরে নেয় দেশটা ভালো নেই।

লুটপাটের অর্থনীতি জারি রেখে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে ফ্যাসিজমের দোসররা। রাষ্ট্রীয় প্রকল্পগুলো থেকে জনগণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আমাদের অর্থনীতিকে করেছে ভঙ্গুর। চাঁদাবাজির অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসা করতে পারেনি। কিন্তু বিগত স্বৈরাচার আমাদের বলতে দিত না।

জুলাইয়ের স্বাধীনতায় গণমানুষ আবার নিজেদের কথা বলার, হতাশা ব্যক্ত করার, প্রতিবাদ করার সক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। মজলুম মানুষের এই নানামুখী যন্ত্রণা দিনশেষে ফ্যাসিজমের কবর রচনা করেছে বাংলাদেশে। এ দেশের মানুষকে দমন করে, নিপীড়ন করে, অত্যাচার করে শাসন করা অসম্ভব। আজ হোক বা কাল- আমরা প্রতিবাদ করবই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা ও অদক্ষতার বিরুদ্ধেও মানুষ আজ প্রকাশ্যে অবস্থান নিচ্ছে। সত্যিকার অর্থেই মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। যদিও এটি একটি চমৎকার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ইঙ্গিত করে।

জনগণের কল্যাণে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে সরকারকে চাপে রাখতে পারছি এবং সরকারের সাথে বিতর্ক করতে পারছি। এ দেশের জাগ্রত তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত না করে, তাদের নিয়ে দেশ গঠনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করতে পারলে আমরা সফল হবো। আর অপরপক্ষে গণমানুষ বিবর্জিত বিভাজনের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হলে, জুলাইয়ের সাথে বেইমানি করা হবে।

জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করে সরকারের এমন প্রতিটি পদক্ষেপের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা এ দেশের প্রতিটি মানুষ জানার অধিকার রাখে। যেমন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কেন ভ্যাট বৃদ্ধি করল, এর বিকল্প কী ছিল, কিভাবে জিনিসপত্রের দাম অতি দ্রুত মানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা যাবে, কবের মধ্যে ভ্যাট কমানো হবে- এই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণগুলো অবশ্যই অবশ্যই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম একটি দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। এটি নিয়ে ন্যূনতম গড়িমসি করার অর্থ হলো, আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে গণমানুষের স্বপ্ন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অস্তিত্বকে বিপন্ন করা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওয়াশিংটনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন জয়শঙ্কর।

তবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে-তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি জয়শঙ্কর।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন জয়শঙ্কর। তিনি শপথ অনুষ্ঠানের পর ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে নিয়ে গঠিত চার দেশীয় জোট কোয়াডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন জয়শঙ্কর।

সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? এর জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘হ্যাঁ, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি না যে, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলাটা সমীচীন হবে।’

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করা হয়েছে। এর জবাবে তিনি বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সুস্পষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এটা খুবই স্পষ্ট যে, নতুন প্রশাসন ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে ভারতের উপস্থিতি চেয়েছিল। তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  

ছবিঃ সংগৃহীত

এবার মালয়েশিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দর এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপে হুমকির বার্তা দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেওয়া এই হুমকি বার্তার আদৌ কোনো সত্যতা আছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত ১১টায় এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মালয়েশিয়ার একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দরে হুমকির বার্তা পাঠানো হয়।

এরপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হয়।
হযরত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, একটি অপরিচিত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমরা আবারও আরেকটি সম্ভাব্য হুমকির বার্তা পেয়েছি। বার্তা পেয়েই নির্ধারিত প্রোটোকল অনুযায়ী বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সব বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
এর আগে ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির বার্তাটি একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে দেওয়া হয়। এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ওই বার্তা দেওয়া হয়।

সে সময় দায়িত্বে ছিলেন এএসপি আব্দুল হান্নান।
ওই বার্তায় বলা হয়, বিমানের রোম থেকে ঢাকা অভিমুখী ফ্লাইটে ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর এগুলো বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পণ্যের দাম বাড়লে অধিকাংশ মানুষ ধরে নেয়, দেশটা ভালো নেই: হাসনাত  
ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর  
এবার মালয়েশিয়ার নম্বর থেকে আসলো হুমকি বার্তা  
ইডেনে অভিষেক শর্মার তাণ্ডব: ৭৭ বল বাকি থাকতে ভারতের দাপুটে জয়
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর