নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
নওগাঁয় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
নওগাঁয় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। যা জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) নওগাঁর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের তথ্য মতে, আজ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাসের আর্দ্রতা ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় রোদ এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলায় বৃষ্টির কোনো আগাম বার্তা নেই। দেশে যেহেতু হিট-এলার্ট চলছে তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় ভালো।
এদিকে তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তাপমাত্রা বেশি থাকায় দৈনন্দিন কাজ করতে তাদের ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক স্থানে কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছে তারা। জেলায় বর্তমানে ধান কাটাই মাড়াই এর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
জেলা শহর ও আশপাশে ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। শহরের কেডির মোড়, মুক্তির মোড় বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে তপ্ত দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। গরমে স্কুল করা প্রসঙ্গে তারা বলেন, যত গরমই পড়ুক। আমাদের পড়াশোনা করতেই হবে। বাড়ি থেকে বোতলে করে পানি নিয়ে এসেছি। বেশি বেশি পানি খাচ্ছি।
বদলগাছি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের টেলি প্রিন্ট অপারেটর আরমান হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আগামী আরও দু-দিন এ ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করবে। তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। এরই মধ্যে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।
নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষের শরীরে একটা প্রভাব পড়েছে। এতে করে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি ও জ্বর হচ্ছে।
পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রয়োজন ছাড়া রোদে বা ঘরের বাহিরে না যাওয়া। বাহিরের খাবার না খাওয়া। বিশুদ্ধ পানি খাওয়া ও বেশি করে তরল জাতীয় খাবারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের শরীর ঘেমে গেলে তা মুছে দেওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।