নওগাঁয় ভোটের পরিবেশ ভালো, তবে ভোটার উপস্থিতি কম
নওগাঁয় ভোটের পরিবেশ ভালো, তবে ভোটার উপস্থিতি কম। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনা ছাড়া নওগাঁয় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরুর পর প্রথম চার ঘন্টায় সাতটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি বেশ কম। গ্রামের ভোটকেন্দ্রগুলোর চেয়ে শহরের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিলো কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন নির্বাচনের দ্বায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।
নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনের দুটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, ভোট শুরুর পর প্রথম দুই ঘন্টায় ভোট পড়েছে ৭ শতাংশেরও কম। ওই দুটি ভোটকেন্দ্র হলো, নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মরছুলা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।
মরছুরা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ছয়টি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৪ হাজার ৩৭৩ জন। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কেন্দ্র দুটিতে ভোট পড়েছে ২৭টি। ভোট পড়ার হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ। ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৮৯৬ জন। ভোটগ্রহণ শুরুর প্রথম ২ ঘন্টায় ভোট পড়েছে ২৬৯টি। ভোট পড়ার হার ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কেন্দ্র দুটি ঘুরে দেখা যায়, কোনো কোনো ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণের দ্বায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অলস বসে আছেন। ভোটকক্ষের সামনে ভোটারদের সারি নেই। দুই-একজন করে ভোটার এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। একটি বুথে (ভোটকক্ষে) মোট ভোটার ৪৯০ জন। দুই ঘন্টায় সেখানে ভোট পড়েছে ১১টি।
মরছুরা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হাসমত আলী বলেন, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ খুব ভালো। তবে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম। দুই ঘন্টায় ৭ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে।
নওগাঁ-১ আসনের নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের কাপাস্টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ২৪২ জন। প্রথম দুই ঘন্টায় কেন্দ্র দুটিতে ভোট পড়েছে ৪৯০টি। ভোট পড়ার হার ১৫ শতাংশ। নিয়ামতপুরের পাড়ইল ইউনিয়নের বীরজওয়ান উচ্চবিদ্যালয়ের মোট ভোটার ৩ হাজার ৬ জন। দুই ঘন্টায় সেখানে ভোট পড়েছে ৩৬০টি। ভোট পড়ার হার ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের গনেশপুর ইউনিয়নের গনেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৯১৬ জন। দুই ঘন্টায় কেন্দ্রটিতে ভোট পড়েছে ৪১০টি। ভোট পড়ার হার ১০ শতাংশ।
রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, ‘নির্বাচনে তিন থেকে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনমনে যে আশঙ্কা রয়েছে তা দূর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসারের সমন্বয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি আসনে স্ট্রাইকিং ফোর্স তৎপর আছে।’
নওগাঁর পাঁচটি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৮২৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৯০১ জন ও পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯২৭ জন। পাঁচটি আসনে মোট ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পাঁচটি আসনে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৬৫০টি। এর মধ্যে ৪০৯টি কেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর কয়েকটি ভোটকেন্দ্র মিলে থাকবে র্যাব, বিজিবি। টহলে থাকবে সেনাবাহিনীও।
রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, ‘নির্বাচনে তিন থেকে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনমনে যে আশঙ্কা রয়েছে তা দূর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসারের সমন্বয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি আসনে স্ট্রাইকিং ফোর্স তৎপর আছে।’