শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘বাড়িতে খাবার নেই, তীব্র শীতে কাজ না করলে খাবার জুটবে না’

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

 

নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে দিনমুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। এতে কাজে যেতে না পারছেন না নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। অনেক দিনমজুর শীত উপেক্ষা করে বেরিয়েও কাজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ব্রিজের মোড়, এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তীব্র শীত উপেক্ষা করেই ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষরা কাজ পাবার আশায় লিটন ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এসে বসে আছেন। প্রায় সবার সঙ্গেই রয়েছে মাটি কাটা ঝুঁড়ি আর কোদাল। আর কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কাজ পাবে কি পাবেনা এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিয়ে মধ্যে সময় পার করছেন।

তীব্র শীতেও কাজের জন্য অপেক্ষারত খেটে খাওয়া দিন মজুররা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এ সময় কথা হয় দিনমজুর শ্রী নারায়ণের সঙ্গে। তিনি ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, ‘ঢান্ডার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে,বাড়িতে কারো খাবার আছে কারো নেই,এই অবস্থায় চলি, কিন্তু কাজ না করলে খাবার জুটবে না, কাজে এসেও কাজ হচ্ছে না, কাজ না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাই, এখন কি করে চলি?

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নওগাঁতে বুধবার সকাল ৯টায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

জরুরি প্রয়োজনে তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল আটটায় শহরের একটি স্কুলের পোশাক পরিয়ে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন ইউনুস আলী ফাইম।

তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘পৌষ মাসে এত শীত আগে কখনো অনুভব করিনি। বাচ্চা তো সর্দি-কাশিতে ভুগছে। স্কুলে কড়াকড়ি থাকায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিয়ে যেতে হচ্ছে।’

নওগাঁ শহরে ইলেক্ট্রিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (ইজিবাইক) চালিয়ে সংসারের খরচ মেটান সুমন (৪২)। তিনি শহরের সুলতানপুর এলাকায় থাকেন। তাঁর সঙ্গে আজ বুধবার কথা হয় শহরের পার-নওগাঁ ট্রাক টার্মিনাল এলাকায়। তিনি বলেন, ‘ঠান্ডায় হাতের আঙ্গুলের রগ জড়ো হয়ে যাচ্ছে। হাত মনে হচ্ছে অবশ হয়ে যাচ্ছে। হ্যান্ডেল ঠিকমতো ধরে রাখা যায় না। গতকাল শীতের কারণে সারা দিন বের হইনি। আজ ভোরে শীতের মধ্যে বের হলেও তেমন ভাড়া পাইনি। সকাল ১০ টা পর্যন্ত মাত্র ৩০ টাকার ভাড়া মারছি।’ সুমন বলেন, শীতের কারণে লোকজন বের হচ্ছে না। তাই ভাড়া হচ্ছে না।

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

শহরের পুরাতন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সকাল ৯ টার দিকে কথা হয় সিএনজি চালক করিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তিন-চার দিন ধরেই সারা দিনই হিম বাতাস বইছে। শীতে একেবারে কাবু হয়ে যাচ্ছি। দুই দিন ধরে ব্যাপক ঠান্ডা পড়ছে। গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।’

এদিকে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত এক সপ্তাহে ৭০৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে (১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত সমম্যায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৫৭১ জন।

নওগাঁ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশিষ কুমার সরকার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, তীব্র শীতে শিশুরা ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট সমস্যায় বেশি ভুগছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের বুকের দুধ পান করাতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং বাসি ও ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না। শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে শীতের কারণে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা। কুয়াশা ও তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া আরও কয়েক দিন এরকম থাকলে বীজতলা নষ্ট হয়ে বোরো আবাদ ব্যাহত হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘন কুয়াশা ও শীতের হাত থেকে বোরো বীজতলা রক্ষার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় বীজতলার চারা ভালো রাখতে সন্ধ্যায় বীজতলায় সেচ দিতে হবে। সকালে সেই পানি বের করে দিতে হবে। সুযোগ থাকলে রাতে বীজতলায় পলিথিন দিয়ে ছাউনি দেওয়া যেতে পারে। সকালে ছাউনি তুলে নিতে হবে।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা হামিদুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় গত রোববার থেকেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি নওগাঁতে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী আরও কিছু দিন তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে পারে। আগামী সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি