দেশের আম উৎপাদনে নওগাঁ প্রথম
আম চাষে আয়তনের দিক থেকে নওগাঁ দ্বিতীয় বৃহত্তম হলেও আম উৎপাদনে নওগাঁ জেলা প্রথম স্থান দখল করেছে। রবিবার (৭ মে) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় আম পাড়ার সময় নির্ধারণ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, আম চাষে নওগাঁর চেয়ে আয়তনের দিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। তবে নওগাঁর আম বাগানগুলো নতুন হওযায় ফলন বেশি হয়। আম চাষে আয়তনের দিক থেকে এই জেলা দ্বিতীয় বৃহত্তম হলেও আম উৎপাদনে নওগাঁ জেলা প্রথম স্থান দখল করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ১ লাখ টন আম উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে নওগাঁয়।
এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, জেলায় এবছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গতবছরের তুলনায় ৫২৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ দশমিক ৫০ টন হিসেবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছর বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি ছাড়িয়ে যাবে।
গত বছর নওগাঁ জেলা থেকে ৭৭ টন আম বিদেশে রপ্তানি হলেও এ বছর প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টন আম বিদেশে রপ্তানি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য বেশ কিছু আম চাষিকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী উত্তম কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে আম চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
এর আগে জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দেন। জেলায় ২২ মে থেকে গুটি জাতের আম পাড়া যাবে। উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ ২৮ মে ও খিরসাপাত বা হিমসাগর ২ জুন থেকে পাড়া যাবে। নাগ ফজলি ৭ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১০ জুন, ফজলি আম ২০ জুন ও আম্রপালি ২২ জুন থেকে পাড়া যাবে। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারী-৪ এবং গৌরমতি জাতের আম পাড়তে পারবেন চাষিরা। তবে আবহাওয়া, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাতসহ বিশেষ কারণে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আগে আম পাড়া যাবে।
এসময় নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন জলিল, আমচাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএন