মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সীমাবদ্ধতা কাটাতে সমাধান জরুরি

রাজশাহীতে বিনামূল্যের আইনি সেবায় ব্যাপক সাড়া

ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ধরনা দেওয়া মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। আর নানা বাস্তবতায় ন্যায় বিচারের বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে আদালতের বারান্দা পর্যন্ত আসার দুঃসাহসও করেন না অনেক নির্যাতিত-নিপীড়িত ব্যক্তি। তবে সেই দিনের অবসান ঘটাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০। যে আইনের বদৌলতে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে বিনামূল্যের আইনি সেবা এখন প্রান্তিক মানুষের দোড়-গোড়ায়। তবে রাজশাহীতে এই সেবার ফাঁক-ফোকড়ের নানা সীমাবদ্ধতার জঞ্জাল সরানো গেলে অসহায় বিচারপ্রার্থীদের আস্থার জায়গা আরও সমুন্নত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিশ্চিত হবে আইনি সেবায় সকলের অভিগম্যতা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিনই বিচারকের কলম কোন না কোন মানুষের নিয়তি ঠিক করে দেয়। বিচারকের কলম ভুক্তভোগীর মুখে হাসি ফোটায়। আর অপরাধীর চোখে অশ্রু। তবে বিচারকের কলম কি রায় লিখবে তা আইনজীবীর উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণাদির উপরও নির্ভর করে। উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণ নির্ধারণ করে দেয় ন্যায় বিচারের মানদন্ড। ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে আইনজীবীর একটি বড় ভূমিকা থাকে। আর সেই আইনজীবী ধরা থেকে শুরু করে বিচার হওয়া পর্যন্ত দুর্বার পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অশ্রু বিসর্জন ও জুতা ক্ষয়ে যাবার তিক্ত বাস্তব গল্প-কাহিনীও মানুষের অজানা নয়। বিচারের আশায় আইনজীবীদের পেছনে কাটখড় পোড়াতে গিয়ে ফতুর হওয়ার বাস্তবতাও আছে। এছাড়া সেবাপ্রার্থীদের বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। আইনের কিছুই বোঝেন না এমন সেবাপ্রার্থীর সংখ্যাই বেশি। এমন বাস্তবতায় সরকারের বিনামূল্যের আইনি সেবার বিশেষায়িত আইন ও বিশেষায়িত সংস্থা অবশ্যই একটি মাইল ফলক। তবে জনবল, অবকাঠামোসহ বিদ্যমান সমস্যা ও সীমাবদ্ধতাগুলোর সমাধানও জরুরি।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্য বলছে, গত এক বছরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পাঁচ শতাধিক ব্যাক্তি বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়েছেন। তাদের ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের সামর্থ্য না থাকায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়ে হাজির হন জেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রতিনিয়তই জেলার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে লিগ্যাল এইড অফিসে বিভিন্ন মামলায় সেবা নিতে আসছেন সেবাপ্রার্থীরা।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, অনেক অসহায় কারাবন্দী কারাগারে থাকেন, যারা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না। তাদেরকে আমরা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সেবা দিয়ে থাকি। এতে দেখা যায়, অনেক কারাবন্দী জামিন পাচ্ছেন। অনেকের মামলাও নিষ্পত্তি হচ্ছে। প্রতিমাসেই তালিকা করে এমন অসহায় কারাবন্দীদের তালিকা পাঠানো হয়। লিগ্যাল এইডের এই সেবাটি খুবই কার্যকরী।

তবে সেবা সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, এই সেবায় কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তির চিত্রও রয়েছে।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্য মতে, তাদের নিয়মিত অফিসার নেই। একজন ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী জজসহ মোট ৩ জন জনবল দিয়ে চলছে এই কার্যক্রম। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবায় ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। মামলাগুলো মনিটরিং করার মতো লোকবল ও উপকরণ না থাকায় সক্ষমতাও নেই রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের।

রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া থানাধীন একটি গ্রামের নির্যাতিত নারী জরিনা বেগম (৩৭) (ছদ্মনাম)। তার বাবা-মা দুজনেই মারা গেছেন অনেক আগে। অভিভাবক বলতে বড় বোন ছাড়া কেউ নেই। এরমধ্যে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ২০২০ সালে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর অর্থের কারণে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করতে পারছিলেন না। পরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে লিগ্যাল এইডের সেবা নেন। এর প্রায় তিনবছর পর আসামিকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে এই আইনি সেবা নেওয়ার পথে দূর্ভোগ ছিলো তার নিত্য সঙ্গী।

জরিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, স্বামীর নির্যাতনের পর তার শারীরিক অবস্থা এখনও সম্পূর্ণ ভালো হয় নি। এখনও তিনি কাজ করতে পারেন না। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় কোন মতে দিন পার করছেন। এই অসুস্থ শরীর নিয়েই খেয়ে না খেয়ে আদালতের বারান্দায় ধরনা দিয়েছেন। বাসা থেকে হেঁটে হেঁটে আদালতে এসেছেন। লিগ্যাল এইড অফিস তার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিলো। সেখান থেকে অর্থ লাগবে না বলেছিলো। কিন্তু আইনজীবী তার কাছে অর্থের জন্য চাপ দিতো। টাকা না দিতে পারায় বাজে কথাও শোনাতো।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের তথ্যমতে, এই সংস্থার আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন মোট ৭৫ জন আইনজীবী। এই তালিকায় রাজশাহীর সিনিয়র ও সুপরিচিত আইনজীবী আছেন মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন। সরকারি এই সেবায় আইনজীবীদের যে 'ফি' দেওয়া হয় তার পরিমাণটাও খুবই কম বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ কারণে সিনিয়ররা এই সেবাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও নিজে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখান না। সবমিলিয়ে এই মামলা পরিচালনায় আইনজীবীদের মাঝে অনেক সময়ই আন্তরিকতার ঘাটতি থাকে। এতে জামিন পাওয়াসহ আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা জানান, সবার জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতের পথে সরকারের বিনামূল্যের এই লিগ্যাল এইড একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সরকারের বিশেষায়িত এই সেবার মাধ্যমে গ্রামের প্রান্তিক মানুষরাও সেবা পাচ্ছে। তবে এই সেবা নিশ্চিতের পথেও প্রতিবন্ধকতা আছে। জনবলসহ বেশকিছু সমস্যা আছে। আর কিছু আইনজীবীরা বিনামূল্যের এসব সেবা প্রার্থীদের থেকেও অর্থ দাবি করে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে সেবার মান আরও উন্নত হবে।

এগুলো আলোচনায় আসলে সমাধানের পথটাও মসৃণ হবে বলে মনে করেন এ আইনজীবি।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্লাস্টের রাজশাহী জেলা সমন্বয়কারী অ্যাড. সামিনা বেগম জানান, উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সীমাবদ্ধতার কারণে তারা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করেন। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে সবার জন্য আইনি সেবার অভিগম্যতার পথ সুগম হয়েছে। তবে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা গেলে তা আরও কার্যকরী হবে, টেকসই হবে। জনগণের কল্যাণে প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আদালত অঙ্গনে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন এবং তার কর্মপ্রয়াস আদালতকে একটি জনমুখী ও কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার অভিনব সরকারি প্রয়াস।

রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী জজ আলমগীর হোসেন জানান, সরকার আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে দায়েরকৃত, দায়ের যোগ্য ও বিচারাধীন মামলায় আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানসহ সালিশি সেবা প্রদান করছে। সবার জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতেই এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।

এই সেবা সম্পর্কে আরও প্রচারণার প্রয়োজন বলে মনে করেন এই আইনজীবি।

/এএস

Header Ad
Header Ad

অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, কোনো সন্ত্রাসী রেহাই পাবে না। শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল বা ইমন, যারাই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য অপরাধীদের আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা জনগণের স্বস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছি।”

৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্ত হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে পিচ্চি হেলাল ও ইমনের নাম উল্লেখযোগ্য। পিচ্চি হেলালের বিরুদ্ধে ডাবল মার্ডারের মামলা হয়েছে এবং ইমনের বিরুদ্ধে এলিফ্যান্ট রোডে ব্যবসায়ীকে কোপানোর অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, “তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কোনো সন্ত্রাসীই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”

রাতে পুলিশের টহল কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পুলিশের মনোবল সম্পূর্ণ অটুট। বর্তমান কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।”

অপরাধের ধরন অনুযায়ী অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, “আমরা তালিকা তৈরি করেছি এবং সে অনুযায়ী অভিযান চলছে। এলিফ্যান্ট রোডের ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া রাতুল তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। এই অভিযানে আরও তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”

ডিবি প্রধান আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না।”

Header Ad
Header Ad

ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ

ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার তেল কিনছে বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ও দিল্লির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলছে নানা টানাপোড়েন, যার মাত্রা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দু'দেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনাও চলছে।অবশ্য সম্পর্কের এই বৈরিতা সত্ত্বেও ভারত থেকে অন্যতম জ্বালানি ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ

রোববার (১২ জানুয়ারি) এক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিগগিরই ভারত থেকে এক লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এর জন্য বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায় খরচ হবে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তবিষয়ক ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার ভেতরেই ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। রোববার বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই ডিজেল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি করা হবে এবং এর জন্য বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায় খরচ হবে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে। আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। মূলত বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে বাংলাদেশে আসছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে

সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে আনা হয়। এ সময় দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হুসাইন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী তার জামিন চেয়ে আবেদন করেননি। পরে শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ বা সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগে আসামি ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে বা বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ বা সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দাখিল করার জন্য সম্পদ বিবরণী জারি করা হয়। তিনি গত বছরের ২৭ অক্টোবর নিজ স্বাক্ষরে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশসহ সম্পদ বিবরণী ফরম গ্রহণ করেন। কিন্তু আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে অর্থাৎ গত ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় এস কে সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ২৩ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করে দুদক।

এর আগে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় এস কে সুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান। অভিযোগ আছে, এস কে সুর ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন ও সুবিধা নিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি
দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে মৃতদেহের ছড়াছড়ি: অন্তত ১০০ জনের প্রাণহানি
মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন জাপার সাবেক এমপি অভি
এস আলমের ২০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক, ৮৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
নির্বাচন কমিশনে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দল
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর, মুক্তিতে বাধা নেই
‘ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে হাসিনার পতনের মত প্রোক্লেমেশন আদায় করে নেব’
টাঙ্গাইলে ১০ কোটি টাকার বালু ৪৯ লাখে বিক্রি: এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানির নতুন তারিখ
নওগাঁয় ডাকাতি শেষে গৃহবধূকে ‍তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৭
৩ বছর আগেই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে জয়ের
মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ‘বিতর্ক’, তথ্য প্রকাশে আপত্তি
প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর সময় প্রাণ হারালেন প্রেমিকা
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন করতে পারবেন বিবাহিতরাও