রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বগুড়ায় পাটের বাম্পার ফলন, হাসি নেই কৃষকের মুখে

বগুড়ার শেরপুরে হাটবাজারে উঠতে শুরু করেছে সোনালী আঁশ পাট। পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে, বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে। তবু কৃষকের মুখে হাসি নেই। কারণ পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানোর কৃষি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন না এই উপজেলার কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় দুই হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়। শুরু থেকেই আবহাওয়া মোটামুটি অনুকূলে থাকায় পাটের ফলনও হয়েছে ভালো। তবে সমস্যা হয় পাট কাটার পর জাগ দেওয়ার সময়। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দূর-দূরান্তে পাট নিয়ে জাগ দিয়ে আঁশ ছাড়ানো হয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে কথা হয় একাধিক পাট চাষির সঙ্গে। উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শুবলী গ্রামের কৃষক শাহার আলী জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন। কিন্তু পাট কাটা ও জাগ দেওয়ায় শ্রমিকদের বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে। প্রতি বিঘা জমির পাট কাটতে ছয়জন শ্রমিক প্রয়োজন। এজন্য ৬০০ টাকা হারে মজুরি হিসেবে দিতে হয় তিন হাজার ৬০০ টাকা। আর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। তাই জমি থেকে অনেক দূরে নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবায় নিয়ে গিয়ে পাট জাগ দিতে হয়। এজন্য প্রতি বিঘায় বাড়তি ব্যয় হয় চার হাজার টাকা। পাটের আঁশ ছাড়াতেও একই পরিমাণ টাকা লাগে। অর্থাৎ শুধু পাট কাটা থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়ানো পর্যন্ত প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া জমি তৈরি, সার-বীজ, নিড়ানিসহ পাট শুকানো বাবদ খরচ হয়েছে আরো ছয় হাজার টাকা। সেই হিসেবে পাট চাষে প্রতি বিঘায় খচর প্রায় ১৭ হাজার টাকা।

কৃষক শাহার আলীর দাবি, ওই জমি থেকে ছয় মণ পাট উৎপাদন হয়েছে। বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সেই পাট বিক্রি করে পেয়েছেন আঠারো হাজার টাকা। খরচ বাদে মাত্র এক হাজার টাকা অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু জমির ভাড়া ধরলে কোনো লাভই থাকবে না। লাভ শুধু পাটখড়ি।

তিনি বলেন, লাভের আশায় নয়, গৃহস্থালি কাজে পাট প্রয়োজন। তাই পাটের চাষ ছাড়তে পারছি না।

সোলায়মান আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ছয় থেকে সাত মণ হারে পাট হয়েছে। পানি সংকটের কারণে জমি থেকে পাট কেটে অন্যত্রে নিয়ে গিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে। শ্রমিক মজুরিও আগের বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি। তাই উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। ফলে ভালো ফলন ও দামে পাট বিক্রি করেও খরচ উঠছে না বলে জানান তিনি।

স্থানীয় হাটবাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাট বেচা-কেনা বেশ জমে উঠেছে। পাটের আমদানিও বাড়তে শুরু করেছে। ভ্যানে করে নতুন পাট নিয়ে আসছেন কৃষকরা। বিক্রেতারা দর কষাকষি করে পাট বিক্রি করছেন। ফলে ভালো দামও পাচ্ছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাটে প্রতি মণ ভালো মানের পাট বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। এরপরও কৃষক লাভবান হতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এই মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেইসঙ্গে কৃষক পাটের দামও ভালো পাচ্ছেন। উৎপাদন খরচ বাড়লেও হাট-বাজারে পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক লাভবান হবেন।

এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া