বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার পথে চেয়ারম্যান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে বিএনপির এক নেতাসহ আরো তিনজন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও শেষ দিন কেউই মনোনয়ন পত্র জমা দেননি।
মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমানের কাছে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন। রুহুল আমীন একক প্রার্থী হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোটের আর প্রয়োজন পড়বে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার পথে আওয়ামী লীগের এ নেতা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছিলেন, জেলা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি সামিউল হক লিটন, বিএনপির থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়া গোমস্তাপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা খুরশিদ আলম বাচ্চু। এছাড়াও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াহেদ।
মনোনয়ন পত্র জমা না দেওয়ার কারন জানতে যোগাযোগ করা হলে বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াহেদ জানান 'আমার দল বিএনপি যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত আছে, তাই দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমি মনোনয়ন পত্র জমা দেয়নি'।
মনোনয়ন জমা দেওয়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একটা কথা আজ বলতে চাই, জেলা পরিষদ হবে জনগনের প্রতিষ্ঠান। আমি শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের কল্যানেই কাজ করে যেতে চাই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, চেয়ারম্যান পদে চার জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও একজন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এখন নিয়ম অনুযায়ী যদি যাচাই বাছাইয়ে তার প্রার্থীতা বহাল থাকে, তাহলে একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করা হবে। সে ক্ষেত্রে ওই পদে কোন ভোট গ্রহনের প্রয়োজন পড়বে না।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনে সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬ জন, সাধারন সদস্য পদে ২৯ জন তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। আগামী ১৮ সেম্পম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুপুর আড়াইটায় মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করা হবে।
এএজেড