নাটোর সদর হাসপাতালে দেওয়া হলো মেয়াদোত্তীর্ণ সিরাপ!
বাবা-মায়ের পঞ্চম সন্তান আরাফ হোসেন সানি। বয়স মাত্র ১০ মাস। দুই দিন আগে হঠাৎ তার জ্বর আসলে সন্তানকে নাপা সিরাপ খাওয়ান বাবা মৃদুল হোসেন। এতেও জ্বর ভালো না হওয়ায় দেন সাপোজিটর। এতে জ্বর ভালো হলেও রাতে হঠাৎ করে ওই শিশুর শুরু হয় রক্ত পায়খানা। উপায়ন্ত না দেখে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ছুটে আসেন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে।
বহিঃবিভাগে টিকিট কেটে শিশু সন্তানকে দেখান হাসপাতালের শিশু ডাক্তার সুমনা সরকারের কাছে। ডাক্তার ওই শিশুর জন্য দেন জিংক আর সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিরাপ ছাড়াও আরো দুই রকম ওষুধ। এর মধ্যে হাসপাতালের ফার্মেসি বা স্টোর রুম থেকে দেওয়া হয় ওই জিংক আর সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিরাপ। বাঁকি দুটি ওষুধ বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু ওষুধ খাওয়ানোর সময় লক্ষ্য করেন যে ওই সিপ্রোফ্লক্সাসিন সিরাপের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত মে মাসে। তবে জিংক সিরাপের মেয়াদ ঠিক আছে। পরে তিনি স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ওই গ্রুপের সিরাপ কিনে সন্তানকে খাওয়ান।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা মৃদুল দাবি করেন,তার সন্তান এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে ওই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়ালে হয়তো আর শিশুর হাসি মুখ দেখা যেতো না৷
সরকারি হাসপাতালে কেন এমন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে-এ প্রশ্ন রেখে মৃদুল জানান,তিনি পড়ালেখা না জানলে কি হতো? রবিবার সকালে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর দাবিও করেন তিনি।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক পরিতোষ কুমার জানান,ওই অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ