পূর্বধলায় স্ত্রীকে খুনের মামলায় স্বামী আটক
নেত্রকোনার পূর্বধলায় দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী টপি আক্তারকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী কুদরত আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের জামুদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কুদরত আলীকে আটক করা হয়।
এর আগে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে কুদরত আলী তার বাড়িতেই স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। কুদরত আলী পেশায় কৃষক। তার বাবার নাম মো. দেওয়ান আলী।
টপি আক্তার একই উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের মেঘাপাড়া গ্রামের আব্দুল কাসেমের মেয়ে।
টপির বড় ভাই কাজল মিয়া জানান, প্রায় নয় বছর আগে টপি আক্তার ও কুদরত আলীর বিয়ে হয়। তাদের তিনটি সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়শই টপিকে মারধর করতেন কুদরত। পরে টপির পরিবারের পক্ষ থেকে কুদরত আলীকে কয়েক দফায় প্রায় চার লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়।
তারপর প্রায় দেড় মাস আগে টপির কাছে আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক চান কুদরত। এ টাকা না দেওয়ায় শনিবার রাত ৮টার দিকে টপির চুল ধরে ঘরের পিলারের সঙ্গে মাথা ঠেসে দিয়ে ও কানের কাছে থাপ্পর দিয়ে মেরে ফেলে। টপির মরদেহে এসব আঘাতের চিহ্ন আছে বলেও জানান কাজল মিয়া।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় টপির ভাই কাজল মিয়া বাদী হয়ে টপির স্বামী ও শাশুড়িসহ ছয় জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তাছাড়া, টপির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমএসপি