গণটিকা কার্যক্রম
সাতক্ষীরায় ৩০ হাজার কম মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় দেশব্যাপী এ কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে আরও দুইদিন। একই ভাবে হয়ে সাতক্ষীরায় টিকাদানের এ কার্যক্রম চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলায় একদিনে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ হাজার কম মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে জেলার ৭টি উপজেলা, দুটি পৌরসভা ও ৭৮টি ইউনিয়নে একযোগে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। টিকা গ্রহণকারীদের দুর্ভোগ কমাতে জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকা প্রদান নিয়ে জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরসহ শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে মাইকিং করা হলেও নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন শাফায়াত বলেন, 'সাতক্ষীরা জেলায় একদিনে ১ লাখ ৭০হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।'
প্রথম ডোজের গণটিকাদান কর্মসূচির মেয়াদ স্বাস্থ্য বিভাগ আরও দুই দিন বাড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ কর্মসূচির আওতায় টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করেছেন। এ ছাড়াও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি, নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় পাঁচটিসহ জেলায় ২০টি ভ্রাম্যমাণ দল থাকছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকে টিকাদানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন বা কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগবে না। বরং টিকা গ্রহণকারীরা তাদের মোবাইল নম্বর দিয়েই টিকা নিতে পারবেন। এসময় গ্রহণকারীদের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে একটি কার্ড দেওয়া হবে। সেটিই হবে তাদের টিকা নেওয়ার প্রমাণ।'
এসএন