কুষ্টিয়ার মিরপুরে নারীর রহস্যজনক মৃত্যু
কুষ্টিয়ার মিরপুরে রানু খাতুন (৩৫) নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে, রানু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে, বাবার বাড়ির লোকেদের দাবি রানুকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রাম ধাপাড়িয়া গ্রাম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রানু আটিগ্রাম ধাপাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সবুজের স্ত্রী।
নিহত নারীর ছেলে রাব্বী বলেন, “সকালে খাবার খেয়ে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের দোকানে বসে গেম খেলছিলাম, এসময় একজন এসে খবর দেন। পরে আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি, আমার আম্মাকে চেয়ারে বসায়ে সকলে পানি ঢালছে।”
নিহত নারীর চাচাতো ভাই আইলচারা গ্রামের বশিরউদ্দীন বলেন, “শরীরের উচ্চতা হিসেবে ও দড়ির মাপ অনুযায়ী স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, তাকে মেরে ঝুলায়ে রাখা হয়েছে।”
এ ঘটনায় তিনি রানুর শ্বশুর উম্বাদ আলী ও দেবর জড়িত থাকার অভিযোগ করেন।
ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির বিশ্বাস বলেন, “মোবাইলে খবর পেয়ে আমি এখানে আসি। একটা চৌকির উপরে তার লাশ কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখেছি। ঝুলানো অবস্থায় আমি পৌঁছাতে পারিনি।”
স্থানীয় শোন্দাহ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তুহিন আলম জানান, নিহত নারীর গলায় কালো দাগ দেখে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়না তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে পরিস্কার ধারণা পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এমএসপি