বরগুনায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ‘শাপলাপাতা’ মাছ
বরগুনায় প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ও শুক্রবার রাতে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে ২৫০ গ্রাম ওজনের ছোট আকারের নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
নিয়মনীতি না মেনেই ছোট সাইজের শাপলাপাতা মাছ কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনছেন ক্রেতারা। এমন নিধন চলতে থাকলে এক সময় শাপলাপাতা বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী শাপলাপাতা মাছ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও উপকূলীয় বরগুনা জেলার সদর উপজেলা, পাথরঘাটা, আমতলী, তালতলী ও বামনা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রায়ই প্রকাশ্যে এ মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় জাল ও বরশি দিয়ে শিকার করা হয় এই মাছ। বরগুনা পৌর মাছ বাজারে নিষিদ্ধ এই মাছ খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হয়। শাপলাপাতা প্রজাতি ভেদে ৮০০ কেজি ওজন পর্যন্ত হয়।
তবে স্থানীয় জেলেদের দাবি, শাপলাপাতা মাছ বেচাকেনা নিষিদ্ধের বিষয়ে তারা জানে না। সমুদ্রবেষ্টিত অঞ্চলের মানুষের কাছে সুস্বাদু ও জনপ্রিয় হওয়ায় তারা এ মাছ শিকার করেন।
পৌর মাছ বাজারের দুই মাছ বিক্রেতা জানান, স্থানীয় মাছের আড়ৎ থেকে এই মাছ পাইকারি দরে কিনে খুচরা বিক্রি করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই মাছ ক্রয়-বিক্রয় করেন। এই মাছ নিষিদ্ধ কিনা তাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে বরগুনা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির শাপলাপাতা থাকলেও বাংলাদেশে ৫৬ প্রজাতির শাপলাপাতা মাছের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, “শাপলাপাতা মাছ সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাছ ধরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে নিষিদ্ধ। যদি কোনো জেলে শালপাতা মাছ ধরে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এমএসপি