এক দিন পর মামলা
মানিকগঞ্জে বিএনপি নেতার গাড়িবহরে হামলা
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিন্নাহ্ কবিরের গাড়িবহরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় দৌলতপুর থানায় মামলা করেছেন কামরুল হাসান নামে দলের এক কর্মী।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকারিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতাকর্মীসহ ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করা হয়।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিএনপি সমর্থিত এক কর্মীর বাড়িতে সামাজিক অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার পথে জিয়ানপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার জিয়ানপুর ইউনিয়নের জৈন্তা এলাকায় প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও বহরে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় বাধা দিতে গেলে বিএনপি সমর্থিত কর্মীদের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ছয় জন বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ সময় মোবাইল মানিব্যাগসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
মামলার আসামিরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের চক হরিচরণ গ্রামের হুমায়ুন কবির শাওন (৪৫), সমেতপুর গ্রামের মো. রাসেল (৩৫), মো. রহিম মিয়া, মো. আওয়াল (৩২), মো. স্বপন মিয়া (৩৫), উজ্জল হোসেন (৩৯), মোয় হাসান (৩২), রামচন্দ্রপুর মোল্লাপাড়া এলাকার মো. রাজু (২৫), এসএ নাইম (১৮), শাহিনুর (২৫), জিয়নপুর এলাকার মো. সিদ্দিক (৩৫), বাচামারা ইউনিয়নের রিহাই দুর্গাপুর এলাকার শামীম আহম্মেদ (২৯)।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবির জিন্নাহ্ বলেন, “আওয়ামী লীগের বহরে এতো মানুষ হয় না। আমি এই আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী। এই জনপ্রিয়তা, এই জনঢল তারা সহ্য করতে না পেরে ঈর্ষান্বিত হয়ে দুর্বৃত্তায়ন ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।”
এ জনঢল হামলা করে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমএসপি