ইঞ্জিন রুমে আগুন
১২ ঘণ্টা পর পতেঙ্গা জেটিতে ভিড়ল ‘বে ওয়ান’
ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ার ১২ ঘণ্টা পর গভীর সমুদ্র থেকে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা জেটিতে ফিরেছে ক্রুজ শিপ বে ওয়ান। এরপর যাত্রীদের রুদ্ধশ্বাস অবস্থার অবসান ঘটে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টায় চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা জেটিতে ভিড়ে জাহাজটি। এরপর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন উদ্বিগ্ন যাত্রী এবং স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাত ১টায় জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় মাঝ সমুদ্রে নোঙর করে অবস্থান করে ‘বে ওয়ান’। আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ধারকারী টাগবোট কান্ডারি-১০। এরপর কান্ডারি-১০ এর সহযোগিয় নিরাপদে জেটিতে ফিরে আসে জাহাজটি।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে কান্ডারি-১০ তাদেরকে সহায়তা করে। কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই বে ওয়ান নিরাপদে জেটিতে ভিড়ে।
জাহাজের এক যাত্রী গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় জাহাজে আগুন লাগে। রাত ২টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই সময় সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পড়ানো হয়। ভয়ে যাত্রীরা রাতভর ঘুমায়নি। আগুন নিভে যাওয়ার খবর শোনার পর যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
বন্দর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ‘বে ওয়ান’ যাত্রী নিয়ে পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনাল থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। গভীর সমুদ্রে পৌঁছালে বে ওয়ানের ১টি ইঞ্জিন বিকল হয়। এরপর ছড়িয়ে পড়ে ধোয়া। এতে যাত্রীদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। এরপর শুক্রবার জাহাজটি বন্দরের শক্তিশালী টাগ বোট কান্ডারি-১০ এর সহায়তায় জেটিতে ফিরতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে জাহাজের মালিক কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবদুর রশিদ জানান, কোনো বড় সমস্যা হয়নি। জাহাজটিতে পতেঙ্গা টার্মিনালে ফেরত আনা হয়।
বে ওয়ান পরিচালনাকারী কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের একজন কর্মকর্তা জানান, জাহাজের একটি ইঞ্জিনে এয়ার লক হয়েছে। আরেকটি ইঞ্জিন সচল আছে। পতেঙ্গা টার্মিনালে পৌঁছানোর পর ত্রুটি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আশা করছি জাহাজটি আবার সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওয়ানা দিতে পারবে।
এসআইএইচ