টাঙ্গাইলে অবৈধভাবে নদীর মাটি কেনা-বেচায় ২ জনকে অর্থদণ্ড
শুকনো মৌসুমে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর উপশাখা নিউ ধলেশ্বরী, লৌহজং, বংশাই, ঝিনাই ও পুংলীসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে দিন দিন অবৈধভাব ভিট বালু ও মাটি কেটে কেনা-বেচা করার হিড়িক পড়েছে। ফলে বর্ষাকালে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক হারে ভাঙন দেখা দেয়। বিলীন হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির ও বসত-ভিটাসহ নানা স্থাপনা।
স্থানীয়রা জানান, বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে অবাধে দিন-রাত বিশাল কর্মযজ্ঞে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকাগুলোতে কেনা-বেচা করেন। এদের কাছে কিছু বলা যায় না। এসব অবৈধ বালু ও মাটি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা ও অভিযোগের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মাটি কেটে কেনা-বেচা করা বন্ধে ও অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জেলার গোপালপুর উপজেলার ঝিনাই নদীতে অবৈধভাবে মাটি কেটে কেনা-বেচা ও বন্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া ইসলাম সীমা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় নায়েব আলী নামে এক মাটি ব্যবসায়ী বিক্রেতাকে ১ লাখ ও মাটি ক্রেতা বাবলু মিয়াকে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড করা হয়। নায়েব আলী উপজেলার সূতী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে ও বাবলু নগদাশিমলা ইউনিয়নের জামতৈলা গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রাম এলাকায় ঝিনাই নদী থেকে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রয় করে আসছিল বালু ও মাটি ব্যবসায়ী উপজেলার সূতী নয়াপাড়া নায়েব আলী।
আর নায়েব আলীর কাছ থেকে মাটি কিনে করে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলছিল উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের জামতৈলা গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে বাবলু মিয়া।
এ খবর পেয়ে অভিযানে নামেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে বালুমহাল আইন ২০১০ এর ১৫ ধারায় পৃথক ২টি মামলায় মাটি ব্যবসায়ী নায়েব আলীকে ১ লাখ টাকা এবং মাটি ক্রেতা বাবলু মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী (ভূমি) ও সাদিয়া ইসলাম সীমা জানান, নাই নদী থেকে অবৈধভাবে নদীর কেটে মাটি কেনা-বেচা করে আসছিল ওই দুই ব্যক্তি। এমন অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুইজনেকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। নদীতে বালু ও মাটি কেনা-বেচা বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
টিটি/