মণিরামপুরে স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী আটক
যশোরের মণিরামপুরে আকবর সানা (৩৬) নামে একজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আকবরের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতের এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্ত্রী রহিমা বেগমকে আটক করেছে। স্বজনদের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে রহিমা তার স্বামীকে হত্যা করেছেন।
নিহত আকবর সানা ওই গ্রামের আরৃশাদ সানার ছেলে। তিনি পেশায় ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী।
নিহতের স্বজনরা জানান, আকবর ফেরি করে বাগেরহাট এলাকায় ভাঙ্গাড়ি কিনতেন। এক-দুই মাস পরপর তিনি বাড়িতে আসতেন। এ সুযোগে আকবরের স্ত্রী রহিমা বেপরোয়া চলাফেরা করতেন। প্রতিবার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরলে এসব নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতো আকবরের।
নিহতের চাচাতো ভাই তরিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার আকবর বাড়ি ফিরেছে। অনেক রাত পর্যন্ত তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। সকালে ফজরের নামাজের জন্য রহিমাকে ডাকতে যান আকবরের বড় ভাবি জোসনা বেগম। তখন অনেকবার দরজা ধাক্কাধাক্কি করলেও ভিতর থেকে কোনো সাঁড়া মেলেনি। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মাটিতে আকবরের মরদেহ পড়ে আছে। পাশে বসে কাঁদছেন তার স্ত্রী।
তিনি জানান, আকবর যদি রাতে কিছু করেন তাহলে তার স্ত্রীর দেখতে পাওয়ার কথা। তখন রহিমা আমাদের ডাকাডাকি করতে পারতেন। কিন্তু তেমন কিছু করেননি রহিমা।
তরিকুল বলেন, আমরা ধারণা করছি কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রহিমা আকবরের কানে আঘাত করেছেন। এরপর তাকে হত্যা করেছেন। পরে গলায় ওড়না জড়িয়ে দিয়ে ভিন্ন কিছু বুঝাতে চেয়েছেন।
এদিকে আকবরের স্ত্রী রহিমা খাতুন জানান, অনেক রাত পর্যন্ত আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। তখন আমি ওকে গলায় ওড়না দিয়ে মরতে বলেছি। এরপর আমার ঘুম এসে যায়। ভোরে উঠে দেখি আমার স্বামীর গলায় ওড়না গিট দেওয়া। তার মরদেহ নিচে পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বানী ইসরাইল জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে বলা যাচ্ছে না। নিহতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা হেফাজতে নিয়েছি।
মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ/