সুনামগঞ্জে মরদেহর উপর উঠে গেল ইউএনও’র গাড়ি!
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের নির্যাতনে উজির মিয়া (৩৫) নামে এক আসামির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ উঠেছে এলাকাবাসী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠার আরেকটি ঘটনা ঘটাল ইউএনওর গাড়ি। ঘটনাটি হলো
পুলিশি নির্যাতনে উপজেলার শত্রুমর্দন গ্রামের বাসিন্দা উজির মিয়ার মৃত্যুর অভিযোগে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জের সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের পাগলা বাজার এলাকায় তার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করছিলেন এলাকাবাসী। এ সময় একটি গাড়ি সেই মরদেহকে চাপা দিয়ে চলে যায়। গাড়িটি ছিল উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনারের। তবে গাড়ির ভেতরে বসা ছিলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উজ জামান।
এ প্রসঙ্গে ইউএন আনোয়ার উজ জামানের দাবি, তাকে বহনকারী গাড়িটি মরদেহকে চাপা দেয়নি। তবে এ ঘটনার দুটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার সখিনা আক্তারের গাড়ি আসে ঘটনাস্থলে। জনতা গাড়িটিকে সামনে যেতে বাধা দিলে চালক না থামায় রাস্তায় রাখা উজির মিয়ার লাশকে চাপা দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সে সময় জনতা সড়কে নেমে এলে তাদের ওপর দিয়েও চালিয়ে যায় হয় গাড়িটি। তবে সে সময় তারা বাধা না দিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেয়।
ঘটনাস্থলে থাকা উজির মিয়ার চাচা মখলেছুর রহমান বলেন, ইউএনও সাহেব তো গাড়ি থেকে নেমে আমাদের কথা শুনতে পারতেন। কিন্তু ড্রাইভার এতগুলো মানুষের ভিড়ে গাড়িটি দ্রুত টেনে চালিয়ে যান। মরদেহটা সড়কে রাখা ছিল। কিন্তু তিনি গাড়িটা মরা মরদেহকে চাপা দিয়ে গেল। আমরা এই ধরনের ইউএনও চাই না।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার ইউএনও মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, ‘মরদেহকে গাড়িপি চাপা দেয়া হয়নি। উত্তেজিত জনতা আমার গাড়ির দিকে হামলা চালায় এবং গাড়ির কাচে আঘাত করতে থাকে। এ সময় ড্রাইভার মরদেহটির পাশ কাটিয়ে চলে যায়। যারা এই অভিযোগ করছেন সেগুলো মিথ্যা। এমন কিছু সেখানে হয়নি।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় চুরির মামলায় আটকের পর জামিনে মুক্তি পাওয়ার ১১দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উজির মিয়া। তার মৃত্যুর পর স্বজনরা অভিযোগ করেন, আটক অবস্থায় পুলিশ তাকে ব্যাপক নির্যাতন করেছে। এ কারণে তিনি অসুস্থ হন এবং মারা যান।
এসআইএইচ