চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাক্ষেতে দুই বৃদ্ধের মরদেহ
চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টাক্ষেত থেকে দুই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর ও রামনগর মাঠের ভুট্টাক্ষেত থেকে দুইজন বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে পরানপুর গ্রামের বেতগাড়ি ও রামনগর ঘড়াভাঙ্গা মাঠ থেকে আলাদা দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দুটি ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল।
একজন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে শওকত আলী (৬২)। আরেকজন একই উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত গোলাম জোয়ার্দ্দারের ছেলে হাফিজুর রহমান হাফিজ (৬২)।
এর মধ্যে শওকত আলী প্রতিবন্ধী ছিলেন। শনিবার সকালে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
এদিকে হাফিজুর রহমান রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘাস কাটার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি না ফেরায় তকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় দুজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ও দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লুৎফুল কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিষের বোতল ও একটি হাসুয়া।
দর্শনা থানার ওসি লুৎফুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “শওকত আলীর মরদেহের পাশে একটি বিষের বোতল পাওয়া গেছে। তার মুখে বিষের গন্ধও ছিল। বিষপানে আত্মহত্যা করতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। আর হাফিজুর রহমান মাটিতে মুখ লাগিয়ে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তারপরও দুজনের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষ হলে জানা যাবে কীভাবে তারা মারা গেছেন।”
এমএসপি