কলাগাছ দিয়ে শহিদ মিনার বানিয়েছিল শিশুরা, ভেঙে ফেলল কারা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাড়া মহল্লায় কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ করেছিল শিশু-কিশোররা। ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে ফুল দেওয়ার আগেই রাতের আঁধারে মিনারটি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের জামিরতলা এলাকায়।
সোমবার (২১ ফেরুয়ারি) রাত ১২টা ১মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিতে গিয়ে মিনারটি ভাঙা দেখেন স্থানীয়রা।
কিন্তু কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে কেউ না দেখলেও স্থানীয়রা শহিদুল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।
রায়হানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইএম ওয়াহিদ মুরাদ বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় জামিরতলা গ্রামের শহিদুলের বাড়ি থেকে ফুল আনা নিয়ে শহিদ মিনার আয়োজকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ১২টা ১ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে দেখা যায় শহিদ মিনারটি ভাঙা। আমাদের ধারণা, যাদের সঙ্গে ফুল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “এটি খুবই দুঃখজনক, ভাষার জন্য যারা শহিদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি শহিদ মিনার ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
রায়হানপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মুকুল ও জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “খুবই দুঃখজনক, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও এগুলো দেখতে হচ্ছে। এ ঘৃণিত কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত।”
তবে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শহিদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমএসপি