কুমিল্লা বেশি দামে সার বিক্রি, কৃষকদের বিক্ষোভ
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় সারের কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে বেশি দাম আদায় করার অভিযোগে কয়েকশত কৃষক বিক্ষোভ করেছে।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সার ডিলার হাজী মো. শাহ আলমের ওয়াহেদপুর বাজারের সার দোকানের সামনে ওই বিক্ষোভ হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কৃষক বলেন, “নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সারওয়ার হোসেন মুকুল ভূঁইয়া সার ডিলারকে সতর্ক করে বলেন, ‘এখন থেকে সার দোকানের সামনে লাল ব্যানারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং কৃষকের কাছে সার বিক্রয় করার সময় রসিদের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতে হবে।’ ওই নির্দেশনার পর আমি ১ হাজার ১৩০ টাকার সার কিনি। তখন আমি রসিদ চাওয়াতে ডিলার সারের মূল্য ৮০০ টাকা রেখে ৪৩০ টাকা ফেরত দেন।”
তিনি আরও বলেন, “এ কথা কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সার কিনতে আসা প্রত্যেকেই রসিদ দাবি করেন। এ পরিস্থিতিতে ডিলার গত এক সপ্তাহ ধরে সারের কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে বিক্রয় বন্ধ রাখেন।”
যদিও রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় কৃষকদের চাপে ডিলার তার গুদাম খুললে সেখানে অনেক সার মজুদ থাকতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বস্তা সারে আমাদের থেকে ৬০০-৭০০ টাকা করে বেশি নিতেন সার ডিলার।
এদিকে, সুবিল ইউনিয়নের সার ডিলার হাজী শাহ আলম বলেন, “গত মাস পর্যন্ত সার থাকলেও চলতি মাসে সারের সরবরাহ কম ছিল। তাছাড়া বরাদ্দকৃত সার কৃষকদের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সার সঙ্কট নিরসনে ভর্তুকি দিয়ে সার কিনে সরবরাহ করে আসছি। ভর্তুকি দিয়ে কেনা সার ক্যাশ মেমোতে বিক্রি করা সম্ভব নয়।”
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, “আমাদের দেশে সারের কোনো সঙ্কট নেই। প্রতিজন সার ডিলারকে বলা আছে, লাল কাপড়ে মূল্য তালিকা লিখে দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে সার বিক্রি করতে হবে।”
এমএসপি