নওগাঁয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
নওগাঁর মান্দায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতার মামলায় গনেশপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সহিংসতা মামলার ৬ আসামি নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে।
বিকালে শুনানি শেষে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীসহ চারজনের জামিন নামঞ্জুর করে বিচারক বিকাশ কুমার বসাক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ মামলার অপর দুই আসামি রশিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং নাজিম উদ্দিন মণ্ডলকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, “নির্বাচনী সহিংসতার ওই মামলায় এজাহারভুক্ত ৫৪ আসামি একই আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। বাকি ৬ আসামি আজ রবিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। তাদের মধ্যে গনেশপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী, তার ছেলে সাব্বির চৌধুরী, শাহ আলম চৌধুরী বকুল ও মেহেদী হাসান মিঠুনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। অপর দুই আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন গনেশপুর ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মণ্ডল ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীর ৮ কর্মী-সমর্থক আহত হন।
এদের মধ্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী ইমরান হোসেন রানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ নভেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। সংঘর্ষের ওই ঘটনায় নৌকার প্রার্থীর কর্মী আবদুল হামিদ বাদি হয়ে ১২ নভেম্বর রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ইমরান হোসেন রানার মৃত্যুর ঘটনায় তার মা রেজিয়া পারভীন বাদী হয়ে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মণ্ডলসহ ১০৪ নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেন।
এমএসপি