নওগাঁয় পুলিশের ‘বডি ওর্ন’ ক্যামেরা চালু
স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নওগাঁয় পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের শরীরে ‘বডি ওর্ন’ ক্যামেরা চালু করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বডি ওর্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম।
জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে ৩৫টি বডি ওর্ন ক্যামেরা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে দায়িত্বরত সব পুলিশ সদস্যদের শরীরে যুক্ত করা হবে। ৪০ মেগাপিক্সেলের হাই রেজুলেশন ক্যামেরাতে একই সঙ্গে অডিও ও ভিডিও করা যাবে। এছাড়া ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরানোসহ ওয়াইফাই, থ্রিজ্রি, ফোরজি ও জিপিএস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির সাহায্যে সরাসরি যে কোনো স্থান থেকে তদারকি করা যাবে। রেকর্ড করা তথ্য চলে যাবে কেন্দ্রীয় সার্ভারে। ধারণ করা কোনো তথ্য মুছে ফেলার সুযোগ নেই।
টহল ডিউটি ও চেকপোস্ট পরিচালনাসহ যে কোনো অভিযানে পুলিশ সদস্যরা আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এই বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। এর মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের পাশপাশি পুলিশ সদস্যদের আচরণ ও গতিবিধি নজরদারির মধ্যে আনা হবে। ক্যামেরাটি ইউনিফর্মের সঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে সংযুক্ত থাকবে।
টেকনিক্যাল বেল্টের স্লোগান হচ্ছে- ‘হ্যান্ড ফ্রি পুলিশিং’। যেখানে আধুনিক বেল্ট, পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, অতিরিক্ত ম্যাগজিন, এক্সপেন্ডেবল ব্যাটন, পানির পট, টর্চ লাইট ও ওয়্যারলেস থাকবে।
নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তা অর্জন করতে পেরেছি। এখনো অনেক বাকি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের যে প্লান দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের জন্য উন্নত পুলিশ দরকার। উন্নত বিশ্বের পুলিশের সঙ্গে অনেক ধরনের সরঞ্জাম থাকে এবং হাত ফ্রি থাকে। বাংলাদেশেও সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বডি ওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকে। যেখানে জনগণ এবং পুলিশ সদস্যের কথা অসলগ্ন হয়ে থাকে। এখন থেকে পুলিশ সদস্যরা কোনো তদন্ত বা অভিযানে গেলে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবে। এতে জনগণ উপকৃত হবে এবং পুলিশের জবাবদিহিতায় স্বচ্ছতা থাকবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) গাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) সুরাইয়া খাতুন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেএম শামসুদ্দিন, পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুল আলম শাহ, ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর রেজাউল করিমসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্য এবং পরিবহন পর্যায়ের নেতারা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএ/