মোহনগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ভাতের হাঁড়িটাও পুড়ে গেল সেলিমের
ভোর রাতে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেলো সেলিমের সংসার। নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ২নং বড়তলী বানিহারী ইউনিয়নের করমশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সেলিমের বসতঘর, দোকানসহ সব আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেলিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে বসতঘরের বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোহনগঞ্জ-খুরশীমূল রাস্তার পাশে করমশ্রী গ্রামের সেলিমের বসতঘর, পাকঘর, গোয়ালঘর ও দোকান ঘরে এমনকি রান্নার হাঁড়িও পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকজন।
বসতঘরের যাবতীয় জিনিস, ১০-১১ মন চাউল, হাঁস-মুরগি, দোকান ঘরের মালামাল, ২টি ফ্রিজ, ৩টি অটো রিকশাসহ অন্য যানবাহন আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে।
এ ছাড়া নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার মূল্যবান দলিলপত্র পুড়ে গেছে। তার কোনো জিনিস এই আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা করা গেল না।
ক্ষতিগ্রস্ত সেলিম মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘৩টি ঘর, ৩টি অটোরিকশা, ধান-চাল, আসবাবপত্র, টাকা-পয়সা, অলঙ্কার সবকিছু আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। সকালে ভাত রান্না করার মতো হাঁড়িটাও পুড়ে গেছে। গোসল করে পরনের কাপড় নাই। রাতে শোয়ার মতো ঘর ও বিছানা পুড়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি কী করে বাঁচবো? আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো পথ নাই।’
করমশ্রী গ্ৰামের বকুল মিয়া বলেন, ‘জীবনে এ রকম অগ্নিকাণ্ড কখনো দেখিনি। ঘর, দুয়ার, আসবাবপত্র, বিছানা, ধান-চাল, জিনিসপত্র নিমিষে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নাই বলতে কিছুই নাই। আল্লাহ তুমি ওর পরিবারকে রক্ষা কর।’
মোহনগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আহমেদ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ছুটে গিয়েছি ঘটনাস্থলে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ততক্ষণে সেলিম ভাইয়ের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা না গেলে পাড়াসুদ্ধ পুড়ে শেষ হয়ে যেত।’
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ ইকবাল। তিনি সেলিম মিয়াকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এমএসপি