বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করলেন সেই তামান্না
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী সেই শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার নূরা। আবেদনপত্রটি যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করাসহ দুটি স্বপ্নের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেছিলেন তামান্না। চিঠির পাওয়ার পর গত ১৪ ফেরুয়ারি পৃথক দুটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে তামান্নাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা।
সেই কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী তামান্নাকে তার স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে ঝিকরগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. নাজিব হাসান, তামান্নার আবেদনটি যশোর শহর থেকে গ্রহণ করেছেন।
তামান্না আক্তার নূরা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, তিনি সব সময় আমার পাশে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে আমি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টে আবেদন করেছি। আমার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।“
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, তামান্নার স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা। আশা করি, তামান্নার স্বপ্ন পূরণে আর কোনো বাধা থাকবে না।”
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার আলীপুরের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীন শিল্পী দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে তামান্না আক্তার নূরা সবার বড়।
তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পা দিয়ে লিখে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
তিনি ২০১৯ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া জনাব আলী খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পিইসি ও জেএসসিতেও জিপিও-৫ পেয়েছিলেন তিনি।
তামান্নার বাবা রওশন আলী ঝিকরগাছা উপজেলার ছোট পৌদাউলিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার (ননএমপিও) শিক্ষক। মা খাদিজা পারভীন গৃহিণী। ছোট বোন মুমতাহিনা রশ্মি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ভাই মুহিবুল্লা তাজ প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।
১৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তামান্নার সঙ্গে দীর্ঘ ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড মোবাইলে কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী তামান্নাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলোজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন।
এমএসপি