নেত্রকোনায় শিক্ষার্থীকে ৪ ডোজ টিকা: থানায় জিডি
নেত্রকোনার মদনে শিক্ষার্থীকে ৪ ডোজ টিকা দেওয়া অভিযুক্ত নার্সকে পাঁচ দিনেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভুক্তভোগী আদিবা বিনতে আজিজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা ।
গত শনিবার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আদিবা বিনতে আজিজ নামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পর পর ৪ ডোজ টিকা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরদিন রবিবার নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. সেলিম মিয়া নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালের ডাক্তার অভিজিত লোহকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি মদন উপজেলা হাসপাতালে এসে বিষয়টি তদন্ত করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কমিটি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া সুলতানা বুধবার মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া সুলতানা বলেন, “৪ ডোজ টিকা দেওয়ার পর তদন্ত কমিটি আমার মেয়ের লিখিত বক্তব্য নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত নার্সকে শনাক্ত করা হয়নি। আমি বুধবার মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।”
রাজিয়া সুলতানা আরও বলেন, “অসুস্থবোধ করায় আমার মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার নেত্রকোনায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।”
তদন্ত কমিটির প্রধান ডাক্তার অভিজিত লোহ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত নার্সকে শনাক্ত করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তদন্তের সুবিধার্থে আপাতত কিছু বলা যাবে না।”
এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, বিষয়টি তদন্ত কমিটি দেখবেন। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, শিক্ষার্থীকে ৪ ডোজ টিকা দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।
নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. সেলিম মিয়া জানান, শিক্ষার্থীকে ৪ ডোজ টিকা দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাইনি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এমএসপি